মমতা ফোন ধরেননি, সর্বসমক্ষে সেটা বলতে বাধ্য করেছেন তৃণমূল নেতা, দাবি মোদীর
জি মিডিয়ায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কার নরেন্দ্র মোদীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু'বার ফোন করে রাজ্যে ফণি পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাড়া দেননি তৃণমূল নেত্রী। তমলুকের সভায় আক্ষেপ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার জি নিউজের সম্পাদকের সুধীর চৌধুরীর প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী বলেন, জানাতে চাইনি, কিন্তু তৃণমূলের এক নেতার টুইটের পর বাধ্য হলাম প্রকাশ করতে।
ফণি ঝড় এসেছিল, দু'জন আলাদা আলাদা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলাম। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কাজ করাটাই তো কঠিন? জি মিডিয়ার সম্পাদক সুধীর চৌধুরীর প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদীর জবাব,''যাঁরা নিজেদের বিদ্বান মানেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করতে পারলে দেশের উন্নতি হবে। এটা একটা সাংবিধানিক ইস্যু। আমার কথা ছেড়ে দিন। রাজ্যপালও রিপোর্ট চেয়েছিলেন। উনি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, ৪টে পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও রিপোর্ট দেয়নি। বাংলার মানুষদের ভাবতে হবে''।
মমতাকে ফোন করেছিলেন আপনি? মোদী বলেন, সন্দেহ করছেন। মিথ্যা বলছি নাকি। নানা নিশ্চিত হতে চাই? এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলতে শুরু করেন, কেন ভরা সভায় ফোনের বিষয়টি ফাঁস করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী বলেন,''ওনার নেতা টুইট করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবমাননা করেছি। নবীনবাবু ও ওডিশার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে পাইনি। কিন্তু এক তৃণমূল নেতা টুইটে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ইচ্ছা করে এড়িয়ে গিয়েছি। সে কারণে বলতে হল''।
নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগের জবাব সেদিনই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ''এর আগে দুর্যোগে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করলেও অর্থ আসেনি। নির্বাচনের আগে ফণি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে থাকবেন না তিনি। উনি এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী''।
আরও পড়ুন- আমরা মা কর্ণের মন্দির ভালো করে করেছি, খড়্গপুরে বললেন মমতা