ভারত চায় শান্তি চুক্তি মেনে চলুক পাকিস্তান

মেন্ধার সেক্টরে পাক সেনার হাতে দুই ভারতীয় সেনা জওয়ানের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে কূটনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। যদিও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রই। শুক্রবার সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামী বলেন দু`দেশেরই উচিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলা। তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনার শান্তি প্রক্রিয়ায় কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Updated By: Jan 12, 2013, 11:16 AM IST

মেন্ধার সেক্টরে পাক সেনার হাতে দুই ভারতীয় সেনা জওয়ানের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে কূটনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। যদিও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রই। শুক্রবার সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামী বলেন দু`দেশেরই উচিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলা। তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনার শান্তি প্রক্রিয়ায় কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুঞ্চের মেন্ধর সেক্টরে পাকসেনার হাতে দুই ভারতীয় জওয়ানের নৃশংস খুনের ঘটনায় কূটনৈতিক উত্তাপ বাড়ছিলই। তারপরও নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিকবার অস্ত্রবিরতি ভেঙেছে পাক সেনা। গোটা ঘটনায় দায় এড়িয়ে তৃতীয়পক্ষকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলে পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখান করে দিয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়া যাতে ব্যাহত না হয় তার ওপর জোর দিলেও, নয়াদিল্লির পরিস্কার বার্তা অস্ত্রবিরতি চুক্তি মানতে হবে পাকিস্তানকে।
 
পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলেও শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঘটনার কয়েকদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন লস্কর-এ-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ। তাই মেন্ধর সেক্টরের হামলার সঙ্গে লস্কর-এ-তৈবার যোগসাজশের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। ছাব্বিশ এগারো কাণ্ডের মূল চক্রী সইদের নাম এই হামলার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর দাবিতে সরব বিরোধীরাও।
 
ছাব্বিশ এগারো কাণ্ডের জেরে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কিন্তু আলোচনার টেবিলে ফিরে এসে ফের শান্তি প্রক্রিয়া চালু রাখতে উদ্যোগ নিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু পুঞ্চের হত্যাকাণ্ডের পর নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনার গুলি থামেনি। সীমান্তে উত্তেজনার পাশাপাশি এক তরফাভাবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানেও নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লি এই পরিস্থিতিও আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে কূটনৈতিক মহলে।

.