দেরিতে বর্ষা, দেশে খরার আশঙ্কায় আবহবিদরা

দেশের সব জায়গাতেই এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা দেরিতে আসায় রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পয়লা জুন থেকে ১৩ জুনের মধ্যে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৫২ শতাংশ। তার জেরে খরার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

Updated By: Jun 18, 2012, 07:31 PM IST

দেশের সব জায়গাতেই এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা দেরিতে আসায় রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পয়লা জুন থেকে ১৩ জুনের মধ্যে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৫২ শতাংশ। তার জেরে খরার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
বর্ষা এবার ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে আসায়, আদৌ কতটা বৃষ্টি হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাঁদের। অতিবৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, বৃষ্টির ঘাটতিতে কৃষিপণ্যের উত্পাদন কমবে। তার জেরে আরও বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। বর্ষা দেরিতে আসায় এমনিতেই খেসারত গুণতে হচ্ছে রাজ্যকে। বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে আমন ধানের চারা তৈরির কাজ। খরার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বর্ধমান, হুগলির মতো রাজ্যের শস্য জেলাগুলিকে এর ফলে ভুগতে হতে পারে। আবার উত্তরবঙ্গে অন্য ছবি। সেখানে অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দেশের সব জায়গাতেই এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা দেরিতে আসায় রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তার জেরে খরার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। আবার অতিবৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, বৃষ্টির ঘাটতিতে কৃষিপণ্যের উত্পাদন কমবে। তার জেরে আরও বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। মৌসুমী বায়ুর খামখেয়ালিপনায় দেশের সব জায়গাতেই এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। পরিসংখ্যান বলছে, বর্ষা দেরিতে আসায় পয়লা জুন থেকে তেরোই জুনের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

দেশে বৃষ্টির ঘাটতি (১জুন-১৩জুন)
--------------------
দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি ৫৭ শতাংশ
মধ্য ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি ৬০ শতাংশ
উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি ৫৯ শতাংশ
পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি ১২ শতাংশ

দেরিতে বর্ষা আসায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও যথেষ্ট খারাপ
---------------------------------
রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি
(সময়সীমা ১জুন-১৩জুন)
--------------------
পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৫২ শতাংশ
উত্তরবঙ্গে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে
উত্তরবঙ্গে বেশি বৃষ্টি না হলে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে হোত ৬০ শতাংশ

অন্যান্যবার রাজ্যে বর্ষা আসে নিম্নচাপের হাত ধরে। এবার তা এসেছে ঘূর্ণাবর্তে ভর করে। জল থেকে ডাঙায় উঠেই যে ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হয়ে যায়, তার সাহায্যে আদৌ কতটা ভাল বৃষ্টি হবে, তা নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের বক্তব্য, বৃষ্টির ঘাটতিতে কৃষিপণ্যের উত্পাদন কমলে, মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক্, তিনমাসের মুদ্রাস্ফীতির হার।

মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার
-------------------
খাদ্যপণ্য - ১০.১১ শতাংশ
সব্জি - ৩২.৫৯ শতাংশ
অন্যান্য - ৭.৬৯ শতাংশ

এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার
-------------------
খাদ্যপণ্য - ১০.৪৯ শতাংশ
সব্জি - ৬০.৯৭ শতাংশ
অন্যান্য - ৭.২৩ শতাংশ

মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার
-------------------
খাদ্যপণ্য - ১০.৭৪ শতাংশ
সব্জি - ৪৯.৪৩ শতাংশ
অন্যান্য - ৭.৫৫ শতাংশ

বর্ষা দেরিতে আসায় এমনিতেই খেসারত গুণতে হচ্ছে রাজ্যকে। খরার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে আমন ধানের চারা তৈরির কাজ। তার জেরে বর্ধমান, হুগলির মতো রাজ্যের শস্য জেলাগুলিকে ভুগতে হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আবার অন্য ছবি। সেখানে অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

.