লঙ্কেশের হত্যাকারির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, দাবি কর্ণাটক সরকারের
সংবাদ সংস্থা: চিহ্নিত করা গিয়েছে গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকারীদের। প্রমাণকে জোরালো করতে চলছে আরও সাক্ষ্য সংগ্রহ। তাই তদন্তের খাতিরে অভিযুক্তদের সম্পর্কে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সিদ্দারামাইয়া সরকার। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এমনটাই দাবি কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডির।
গত ৫ সেপ্টেম্বর অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় নিজের ফ্ল্যাটেই আততায়ীর গুলিতে মারা যান প্রখ্যাত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য ধরা পড়লেও লঙ্কেশের ঘাতকরা হেলমেট পরে থাকায় প্রাথমিকভাবে তাদের চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন- মোদী - পালানিকে আক্রমণ করে 'দেশদ্রোহী' দিনাকরণ
লঙ্কেশের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। লঙ্কেশ হত্যায় বিজেপির দিকে যেমন আঙুল ওঠে, তেমনই ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যের আওতাভূক্ত বলে’ বিজেপির পক্ষ থেকেও কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এই আবহে দিদির হত্যাকাণ্ডে মাওবাদীদের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ লঙ্কেশের ভাই ইন্দ্রজিত্।
বিবিধ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্নড় সাংবাদিক এম কালবুর্গির হত্যায় যে বুলেট ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ধরনের বুলেটই ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল লঙ্কেশের দেহ।
আরও পড়ুন- হামলা হলে রেয়াত নয়, শ্রীনগরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ৩ পাকিস্তানি জঙ্গি
সোমবার লঙ্কেশ ঘনিষ্ঠ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ লঙ্কেশ হত্যা নিয়ে 'সরকারের নীরবতা'য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তোলেন তাঁর চেয়েও বড় অভিনেতা বলে। লঙ্কেশ হত্যার কিনারা না হওয়ায় হতাশ প্রকাশ রাজ শ্লেষ মিশিয়ে বলেন, ‘আমার পুরস্কারগুলো আমি তাঁর হাতেই তুলে দেব, তিনিই ওগুলির যোগ্য’। এরপরই বিজেপির পক্ষে বলা হয়, লঙ্কেশের ঘাতকদের ধরতে না পারার জন্য প্রকাশের উচিত সিদ্দারামাইয়া সরকারের থেকে জবাবদিহি চাওয়া। ঘটনাচক্রে এরপর দিনই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলা জানালেন যে তাঁরা অপরাধীকে সনাক্ত করে ফেলেছে। এবার দেশ জুড়ে অপেক্ষা সেই ঘৃণ্য ঘাতকদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার।