পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত লালু
অভিযোগ ছিল, চাইবাসা ট্রেজারি থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হয় স্রেফ নথি জালিয়াতি করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মরার উপরে খাঁড়ার ঘা। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন লালু প্রসাদ যাদব। বৃহস্পতিবার সম্ভবত সাজা ঘোষণা করবে বিশেষ সিবিআই আদালত। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে আরজেডি প্রধানের।
১৯৯২-৯৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে নথি জালিয়াতি করে ৩৩.৬৭ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ছিল লালুর বিরুদ্ধে। বুধবার ওই মামলায় রায় দেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি এসএস প্রসাদ। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় নির্দোষ ঘোষণা করা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে। তৃতীয় মামলায় অবশ্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের তোড়জোড় শুরু বিরোধীদের, নেতৃত্বে সিপিআইএম
অভিযোগ ছিল, চাইবাসা ট্রেজারি থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হয় স্রেফ নথি জালিয়াতি করে। রাজ্য সরকার পশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ করেছিল মাত্র ৭.১০ লাখ টাকা। কিন্তু নথি জালিয়াতি করে ওই টাকার বাড়িয়ে ৩৩.৬৭ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়।
এদিকে, ওই রায়ের পর সরব হয়েছেন লালুর ছেলে তেজস্বী যাদব। তাঁর দাবি, 'পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বাবাকে ফাঁসানোর মূল পরিকল্পনাটাই নীতীশ কুমার ও আরএসএস-বিজেপির। এটা এখন সবাই জানে। আমারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।'