নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কুণালের 'বিস্ফোরক' চিঠি নরেন্দ্র মোদীকে

নিরপেক্ষ সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কুণাল ঘোষ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গোড়া থেকেই সারদা মামলায় সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। কিন্তু, চক্রান্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস। এমনকি সাক্ষ্যপ্রমাণও লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।

Updated By: Aug 10, 2014, 11:54 AM IST
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কুণালের 'বিস্ফোরক' চিঠি নরেন্দ্র মোদীকে

ওয়েব ডেস্ক: নিরপেক্ষ সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কুণাল ঘোষ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গোড়া থেকেই সারদা মামলায় সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। কিন্তু, চক্রান্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস। এমনকি সাক্ষ্যপ্রমাণও লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।

২০১৩ নভেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার পর সারদাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এবছরের মে মাসে জেলবন্দি অবস্থায় সিবিআইকেও একানব্বই পাতার চিঠি লিখেছিলেন। যেখানে সারদা প্রথম সুবিধাভোগী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এবার ফের চিঠি লিখলেন কুণাল ঘোষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। দু পাতার চিঠিতে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "আমি শুরু থেকেই সারদা মামলার তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছি, কিন্তু গভীর ষড়যন্ত্র করে আমাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুরোটাই করা হয়েছে আমাকে গরাদের ভিতরে রাখতে। সেই ষড়যন্ত্র সমানে চলছে। এমনকি তথ্য প্রমাণ লোপাট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করাও চেষ্টা হচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আগেও আমি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখেছিলাম। বতর্মানে সিবিআই সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করলেও,  একটি রাজনৈতিক দলের একাংশ তা  প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এজন্য সবরকম রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি শুধু নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানাচ্ছি।"

কুণাল ঘোষ চিঠিতে সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও, সেরকম কোনওরকম সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, পুরোপুরি স্বাধীনভাবেই তদন্ত চলছে। উল্টে কুণাল ঘোষ নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও, এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা গতিপ্রকৃতি তাতে  তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি সিবিআইয়ের।

.