কেরলে ৬০০ কোটির সহযোগিতা, আরও অর্থ সাহায্যের আশ্বাস কেন্দ্রের
আরব আমিরশাহির সহযোগিতা নিয়ে বিতর্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে বিদেশি অনুদান নিয়ে বিতর্কে অতিরিক্ত তহবিল দেওয়ার আশ্বাস দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানাল, 'দু'দিন আগেই ৬০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।'
কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, 'অগ্রিম সহায়তা হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার পর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে দেওয়া হবে অতিরিক্ত অর্থ'।
কেরলে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৭০০ কোটি টাকা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল আরব আমিরশাহি। তবে কেন্দ্র জানায়, 'বর্তমান নীতি মেনেই দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিদেশি সরকারের কাছ তেকে অর্থ সাহায্য নেবে না ভারত। তবে বিদেশি সংস্থা, অনাবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সাহায্য স্বাগত'।
কেন্দ্রের এই ফরমানের বিরোধিতা করেছে কেরল সরকার। তারা জানায়, পাঁচশো কোটি টাকায় পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শুরু হয় সমালোচনা। চাপের মুখে কেন্দ্র জানাল, মঙ্গলবারই ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কেরলকে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস মতো ৫০০ কোটি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মেনে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেরলে ত্রাণও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৭ অগস্ট কেরলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি দেখেও এসেছেন তিনি। কেন্দ্র জানিয়েছে, নিয়মিত কেরলের বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা ও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে মন্ত্রিসভার সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রতিরক্ষা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবরা বৈঠকেও বসছেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উদ্ধারকাজেও বিশাল বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ৪০টি হেলিকপ্টার, ৩১টি বিমান. ১৮২টি উদ্ধারকারী দল, ১৮টি চিকিত্সকদের দল, ৭ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৮টি দল এবং ৫০০টি নৌকো পাঠানো হয়েছে। এর ফলে ৬০,০০০ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাহুলের আইসিস মন্তব্যে ব্যাখ্যা চাইল বিজেপি