'আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী, ব্যক্তিগত পরিসর চাই', রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে চলেছে সবরীমালা বোর্ড

সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

Updated By: Sep 28, 2018, 05:44 PM IST
'আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী, ব্যক্তিগত পরিসর চাই', রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে চলেছে সবরীমালা বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের সবরীমালার আয়াপ্পার মন্দিরের দরজা মহিলাদের জন্য খুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর্যালোচনার জন্য আবেদন করতে চলেছে দেবস্বম বোর্ড। তাদের হাতেই রয়েছে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব। ত্রিভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ডের সভাপতি এ পদ্মকুমার জানিয়েছেন, রায় পর্যালোচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। 

এ পদ্মকুমারের কথায়,''সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান করে বোর্ড। মহিলা পুণ্যার্থীদের জন্য উপযুক্ত বন্দোবস্ত করা হবে। তবে ধর্মীয় প্রধানদের অনুমতি মেলার পর রায় পর্যালোচনার জন্য আবেদন করব''। 

সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের বিরোধিতা করে আসছিলেন আয়াপ্পা ধর্ম সেনার সভাপতি রাহুল ইশ্বর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর একই অবস্থানে অনড় তিনি। রাহুল ইশ্বর বলেন, সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের বিরোধিতায় আমাদের যুক্তি ছিল, আরাধ্য আয়াপ্পা নৈসিক্ত ব্রহ্মচারী। তাঁর ব্যক্তিগত পরিসর রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত পরিসর এই মন্দির। নিশ্চিতভাবেই রায়ের পর্যালোচনা চেয়ে আবেদন করব। আইনের পথ খোলা রয়েছে। ১৬ অক্টোবর মন্দির বন্ধ থাকবে, সুতরাং আমাদের হাতে সময়ও আছে। 

সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশে ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কিন্তু সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মহিলাদের প্রবেশে বাধা আদতে লিঙ্গ বৈষম্য। এর পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের অধিকারও লঙ্ঘন করছে। 

শুক্রবার মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, নৈতিকতার দোহাই দিয়ে মহিলাদের অধিকার হরণ করা যাবে না। আয়াপ্পার ভক্তরা সবই হিন্দু। ফলে ভক্তদের অধিকারের মধ্যে ভাগাভাগি হতে পারে না। সবরীমালা মন্দিরে ভক্তদের ঢোকার ক্ষেত্রে যে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা কোনও ধর্মীয় আচার হতে পারে না। ১০-৫০ বছরের মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী।

ঐতিহাসিক ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, আরাধনার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য থাকতে পারে না। যে দেশে দেবী পূজিত হন সেখানে এই বৈষম্য চলতে পারে না। এক্ষেত্রে বেঞ্চের ৫ বিচারপিতর মধ্যে ৪ জনই একমত। একমাত্র বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা দ্বিমত পোষণ করেছেন।

আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেলের খরচ কমাতে গাড়ির ইঞ্জিন বদলের পরিকল্পনা মোদী সরকারের

.