'বিদ্রোহী' ত্রয়ীকে 'উচ্ছেদ' করতে আগামিকাল আপ-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক
যোগেন্দ্র যাদব, শান্তি ভূষণ ও প্রশান্ত ভূষণ। আম আদমি পার্টির 'বিক্ষুব্ধ' এই ত্রয়ীর বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিয়ে প্রস্তুত দলের কেজরিওয়াল পন্থীরা। ইতিমধ্যেই, ঘুরিয়ে আপ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই ৩ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন আপ-এর মুখপাত্র।
নয়া দিল্লি: যোগেন্দ্র যাদব, শান্তি ভূষণ ও প্রশান্ত ভূষণ। আম আদমি পার্টির 'বিক্ষুব্ধ' এই ত্রয়ীর বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিয়ে প্রস্তুত দলের কেজরিওয়াল পন্থীরা। ইতিমধ্যেই, ঘুরিয়ে আপ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই ৩ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন আপ-এর মুখপাত্র।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর কিছু ফাঁস হয়ে চিঠি। আর তাতেই ব্যতিব্যস্ত আম আদমি পার্টি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে তড়িঘড়ি আগামী বুধবার আপ-এর জাতীয় এক্সিকিউট কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। এই বৈঠকে দলের অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য-নেতা যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
সূত্রে খবর, এই বৈঠকে দলের রাজনীতি বিষয়ক কমিটি থেকে যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণকে ছেঁটে ফেলতে প্রস্তুত কেজরিওয়াল অনুগামীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এই কমিটি থেকে দলের এই দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে সরিয়ে দিতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না তাঁদের।
তবে, দলের মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধ মতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপস্থিতি টের পেয়ে ইতিমধ্যেই উল্টো সুরে গাইতে শুরু করে দিয়েছেন যোগেন্দ্র যাদব। গতকাল সন্ধেতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেছেন কেজরিওয়ালই আপ-এর শীর্ষ নেতা। তাঁকে জাতীয় আহবায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
প্রশান্ত ভূষণ এই মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশে। তিনি বুধবারের বৈঠকটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে দলে যে পরিমাণ বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্ত ভূষণের অনুরোধে কেউই কান দেননি।
সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আপ-এর দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় সিং জানিয়েছেনঅরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জাতীয় আহবায়কের পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র গত ছয় থেকে আট মাস থেকেই চলছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছে ''দলের বরিষ্ঠ নেতারা যখন লাগাতার অরবিন্দ জিকে আক্রমণ করছেন, তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা করেন তখন কোনওভাবেই সুষ্ঠ ভাবে দলীয় কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।'
কিছুদিন আগেই আপ-এর বর্ষীয়ান সদস্য প্রকাশ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সরিয়ে যোগেন্দ্র যাদবকে দলীয় আহবায়ক করার দাবি করে ছিলেন।