Suicide note লিখে আত্মঘাতী বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকার, কংগ্রেসের অপমানই কারণ?
দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের পাশ থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতে বেরিয়ে যান তিনি। এর পর অনেকক্ষণ সময় কেটে যাওয়ায় বাড়ির লোকজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। রাত দুটো নাগাদ কর্ণাটক বিধান পরিষদের উপাধ্যক্ষ এস এল ধর্মেগৌড়ার (SL Dharmegowda) দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের পাশ থেকে। কর্ণাটকের চিকমাঙ্গালুরুরের কাদুর এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। আত্মহত্যার প্রমাণ হাতে পাওয়া সত্ত্বেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দিনকয়েক আগেই কর্ণাটক বিধান পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন এস এল ধর্মেগৌড়াকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, বিধানসভা পরিষদে ধর্মেগৌড়াকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। সভার সদস্যদের একাংশ ধর্মেগৌড়াকে আসন থেকে টেনে-হিঁচড়ে তুলে দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের বিধান পরিষদ সদস্যরা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। অশান্তির মাঝেই বিধান পরিষদের চেয়ারপার্সন কে পি শেট্টি পৌঁছন। তার পরই সভা মুলতুবি করা হয়। বেআইনি ভাবে বিধান পরিষদের অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের বিধান পরিষদ সদস্যরা।
আরও পড়ুন- Mob Lynching: মাঝ রাস্তায় 'খুন' ২৩ বছরের ছেলে, পথচলতি লোকজন দাঁড়িয়ে তুলল ভিডিয়ো
সেই ঘটনার দিনকয়েকের মধ্যেই আত্মহত্যা করলেন ধর্মেগৌড়া। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সেদিন কংগ্রেসের সদস্যদের অপমানের জেরেই কি আত্মঘাতী হলেন তিনি! এমনিতে শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। কখনও তাঁকে প্রচারের আলোয় সেভাবে দেখা যেত না। সেই তাঁকে ঘিরেই সেদিন ধুন্ধুমার বেঁধেছিল। তাঁর মৃত্যুতে জেডিএস নেতা এইচডি দেবগৌড়া শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ''ভদ্র ও শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিল ধর্মেগৌড়া। এর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। ধর্মেগৌড়ার মৃত্যু রাজ্যের ক্ষতি। আমি নিজের ভাইকে হারালাম। জনগণ হারাল একজন সত্ রাজনীতিককে।''