পোশাক ফতোয়ায় পিছু হঠল কর্ণাটক সরকার
চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হল কর্ণাটক সরকার। সরকারি কর্মচারিদের জিনস,টি-শার্ট পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। তার জেরেই বিতর্কিত নির্দেশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। সরকারি অফিসের মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক নির্বাচন করার জন্য কর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হল কর্ণাটক সরকার। সরকারি কর্মচারিদের জিনস,টি-শার্ট পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। তার জেরেই বিতর্কিত নির্দেশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। সরকারি অফিসের মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক নির্বাচন করার জন্য কর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
অফিসে জিনস বা টি-শার্ট পরে আসা যাবে না। পুরুষদের ফরমাল প্যান্ট-শার্ট বা কুর্তা-পাজামা পরে আসতে হবে। আর মহিলাদের পরনে থাকবে শাড়ি বা চুড়িদার। সরকারি কর্মীদের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ জারি করে কর্ণাটক সরকার। সরকারি কর্মীদের মর্যাদা, শালীনতা রক্ষার জন্যই এই পোশাক বিধি বলে নির্দেশনামায় জানানো হয়।
সরকারের ফতোয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি নারী আন্দোলনের কর্মীরাও প্রতিবাদে সামিল হন। সরকারি নির্দেশ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অবশ্য ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কর্মীদের অসন্তোষের আঁচ টের পেয়ে শেষপর্যন্ত পোশাক বিধি চাপিয়ে দেওয়ার রাস্তা থেকে সরে এসেছে কর্ণাটক সরকার। নির্দেশ নেমে এসেছে অনুরোধে। বলা হয়েছে, সরকার চায় কর্মীরা যেন, সরকারি অফিসের মর্যাদা হানি করে এমন পোশাক না পড়েন। কী পরা যাবে আর কী যাবেনা - নির্দিষ্টভাবে এমন কোনও পোশাকের উল্লেখও নেই দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে।