কাঞ্চিপূরম মন্দির সেই রহস্য খুন ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেল, বেকসুর খালাস মঠের প্রধান সন্ন্যাসী সহ ২৩ জন
শঙ্করারামন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ২৩ জনকে বেকসুর খালাস করল আদালত। নয় বছর ধরে শুনানি চলার পর আজ এই রায় দিল পুডুচেরী হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে খুনের উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র পরিস্কার নয়। এরপরই বিচারক সি এস মুরুগান অভিযুক্ত ২৩ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
শঙ্করারামন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ২৩ জনকে বেকসুর খালাস করল আদালত। নয় বছর ধরে শুনানি চলার পর আজ এই রায় দিল পুডুচেরী হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে খুনের উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র পরিস্কার নয়। এরপরই বিচারক সি এস মুরুগান অভিযুক্ত ২৩ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তামিনলাড়ুর কাঞ্চিপূরম মন্দির চত্বরে খুন হন ম্যানেজার শঙ্করারামন। হাই প্রোফাইল এই হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে মঠেরই দুই সন্ন্যাসী জয়েন্দ্র সরস্বতী এবং বিজেন্দ্রের। এছাড়াও নাম জড়ায় আরও ২১ জনের। প্রথমে তামিলনাড়ুর চেঙ্গালপেট আদালতে মামলা চলে। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা পুডুচেরী হাইকোর্টে স্থানান্তরিত হয়।
নয় বছর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই রায় শঙ্করারামন হত্যাকাণ্ডে ধোঁয়াশাতেই রেখে দিল। চিঠি লিখে শঙ্করারামন মঠের দুর্নীতি ফাঁস করার পরই কেন খুন হলেন! কেনই বা সেই বিস্ফোরক চিঠিতে মঠেরই প্রধান সন্ন্যাসী জয়েন্দ্র সরস্বতীর বিরুদ্ধে তোপ দাগার পর আর কোনওদিন মুখ খুলতে পারলেন না! এই ধোঁয়াশাগুলো রয়েই গেল।
তদন্তে অনেক দূর এগিয়েও শুধু সামান্য কিছু প্রমাণের অভাবে জয়েন্দ্র সরস্বতীকে দোষী প্রমাণিত করা গেল না বলে আফশোস করলেন শঙ্করাচার্যের ঘনিষ্ঠরা।