আইসিস-এ যোগদানকারী ভারতীয় এক যুবক দেশে ফিরে আপাতত এনআইএ-র হেফাজতে
কল্যানের ৪ যুবক, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ইরাকে গিয়ে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এ যোগদানের, তাদের মধ্যে একজন শুক্রবার ভারতে ফিরে এল। আরিফ মাজীদ নামের ওই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত আইসিস-এর হেফাজতে।
মুম্বই: কল্যানের ৪ যুবক, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ইরাকে গিয়ে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এ যোগদানের, তাদের মধ্যে একজন শুক্রবার ভারতে ফিরে এল। আরিফ মাজীদ নামের ওই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত আইসিস-এর হেফাজতে।
আরিফের সঙ্গেই ন্যাশনল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির একটি দল আজ সকাল ৫টা ১৫ তে তুরস্ক থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌছয়। আরিফ ইরাক থেকে তুরস্কে পালিয়ে এসেছিল।
এনআইএ কল্যানে আরিফের বাবা-মাকে তাঁদের ছেলের দেশে ফিরে আসার খবর দেন। তাঁরা বর্তমানে মুম্বই গেছেন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে।
সূত্রে খবর, এনআইএ প্রথমে আরিফের সঙ্গে আইসিস-এর সম্পর্ক খতিয়ে দেখবে, তারপরেই তাকে পরিবারের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
আরিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার আত্মীয় ইফতিকার খান জানিয়েছেন ছেলে দেশে ফিরে আসায় আরিফের পরিবার খুশি।
ইফতিকারের মতে ''চরমপন্থীদের চক্করে পরে'' আরিফ যদি ভুল করেও থাকে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করেছেন তদন্তের পর আরিফকে যেন তার পরিবারের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরিফ ফিরে আসার পর অপর ৩ যুবকের পরিবারও এখন নিজেদের ছেলেদের বাড়ি ফিরে আসার দিন গুনছে।
চলতি বছরের মে মাসে মহারাষ্ট্রের কল্যানের ৩ যুবক- আরিফ, ফাহাদ শেখ, সাহীম তাঙ্কি ও আমান ট্যান্ডেল আইসিস-এ যোগ দিতে ইরাক পাড়ি দেয়। পরে অবশ্য তারা বারবার আইসিস-এর কবল মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
সূত্রে খবর, ১০-১২ জন ভারতীয় যুবককে বর্তমানে আইসিস-এর হয়ে কাজ করে। ভারতীয় মুসলিমদের উপর আইসিস সেরকম কোনও প্রভাব নেই, মুখে ভারত সরকার বারবার এই দাবি করলেও বাস্তব চিত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। নভেম্বরের ২৯ ও ৩০ তারিখ ডিজিপি/ আজিপিদের মিটিং প্রধান আলোচ্য বিষয়ই কিন্তু ছিল এদেশের যুবকদের উপর এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ।