লোকসভা ভোটের আগে উত্তর-পূর্বে শরিক পেল তৃণমূল
সদ্য মিজোরামে বিধানসভার ভোটগ্রহণে ৮টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট।
কমলিকা সেনগুপ্ত
লোকসভা ভোটের আগে উত্তর-পূর্ব থেকে জোড়া সুখবর তৃণমূলের। অরুণাচলপ্রদেশে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগাং আপাং। অমিত শাহকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পর ব্রিগেড মঞ্চে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। এবার মিজোরামের জোরাম পিপলস পার্টি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর ঘোষণা করল।
সদ্য মিজোরামে বিধানসভার ভোটগ্রহণে ৮টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। সে রাজ্যে ২৬টি আসন পেয়ে সরকার গড়েছে মিজো ন্যাশনাল পার্টি। উত্তরপূর্বে বিজেপির সঙ্গী তারা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ছাড়াই লড়াই করেছে। মিজোরামে বিজেপি পেয়েছে মাত্র একটি আসন।
মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল তথা বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে তৃণমূলের সহকারী পর্যবেক্ষক বিশ্বজিৎ দেবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোরাম পিপলস পার্টির লালডুহোমা। বৈঠকের পরই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে থাকবেন লালডুহোমা। এবার বিধানসভা নির্বাচনে দুটি আসনে লড়াই করেছিলেন তিনি। দুটি আসনেই জেতেন। পরে একটি ছেড়ে দেন। ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের সদস্য হয়েছিলেন লালডুহোমা। পরে মিজো ন্যাশনাল ইউনিয়ন নামে একটি দল গঠন করেন। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টে বেশ কয়েকবছর ছিলেন লালডুহোমা। ২০০৩ সালে জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি গঠন করে বিধানসভার সদস্য হন। গতবছর জোরাম পিপলস মুভমেন্ট নামে একটি অকংগ্রেসি ও অ-এমএনএফ জোট গঠন করেন লালডুহোমা।
এদিকে অরুণাচলের গেগাং অমিত শাহকে পাঠানো পদত্যাগপত্র লেখেন, ''ভারতের মহান গণতান্ত্রিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। রাজ ধর্মের কথা স্মরণ করিয়েছেন উনি। ওনার রাজনৈতিক দর্শনের ছাত্র হওয়ার কারণে আজও তাঁর দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি। ক্ষমতার জন্য রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করার চেয়ে বিরোধী থাকা পছন্দ করতেন অটলবিহারী। কিন্তু বর্তমানে উত্তর-পূর্বে বিজেপির কোনও সহযোগীই গণতান্ত্রিক মূল্য মেনে চলে না''।
Former Arunachal Pradesh CM Gegong Apang quit BJP yesterday; wrote in his resignation letter to BJP chief Amit Shah, "I'm disappointed to see that the present day BJP is no longer following the principles of Late Vajpayee Ji. The party is now a platform to seek power" pic.twitter.com/rTRiNllfTA
— ANI (@ANI) January 16, 2019
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় থাকতে চলেছেন গেগাং। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখনও বহু অনুগামী রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন- এসআইপি-র মাধ্যমে ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে হোন ১.৭ কোটির মালিক!