ফের পুলিসি হেফাজতে জিগনা ভোরা

জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে ধৃত সাংবাদিক জিগনা ভোরাকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত, ছোটা রাজনের সহযোগী জোসেফ পলসনকেও ৫ তারিখ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Dec 14, 2011, 04:58 PM IST

জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে ধৃত সাংবাদিক জিগনা ভোরাকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত, ছোটা রাজনের সহযোগী জোসেফ পলসনকেও ৫ তারিখ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিস ভোরা ও পলসনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায়। অনুমান, এর ফলে এই মামলায় নতুন সূত্র পুলিসের হাতে আসতে পারে।
গত ১১ জুন বাণিজ্য নগরীর পওয়াইয়ে একটি শপিং মলের কাছে `মিড ডে`র ক্রাইম রিপোর্টার `জে দে`-কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে ৯টি গুলি চালায় তারা। প্রথমে দাউদসঙ্গী ছোটা শাকিলের গ্যাংকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্দেহ করা হয়। পরে সন্দেহের তালিকায় ঠাঁই পায় ছোটা রাজন গ্যাং`ও। গত মাসে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাত্‍কারে জে দে-কে হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন ছোটা রাজন। `ডি কোম্পানি`-ছুট এই মাফিয়া ডন জানান, জ্যোতির্ময়ের বিভিন্ন লেখা পড়ে তার মনে হয়েছিল, মিড ডে-র এই রিপোর্টার দাউজ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের পর জে দে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সতীশ কালিয়া, অভিজিত্‍ সিন্ডে, অরুণ জনার্দন ডাকে, সচীন সুরেশ গায়কোয়াড়, অনিল ওয়াঘমাড়ে-সহ ছোটা রাজন গ্যাংয়ের দশ জনকে গ্রফতার করা হয়। বিনোদ আনসারি নামে ছোটা রাজন ঘনিষ্ঠ এক প্রমোটারকে জেরা করে জে দে কাণ্ডে জিগনা ভোরার যোগাযোগ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পায় মুম্বই পুলিস। গত ২৬ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় জিগনাকে। পুলিসের অভিযোগ, পেশাগত ঈর্ষার কারণেই জে দে`কে খুন করার জন্য ছোটা রাজন গ্যাং`কে প্ররোচিত করেছিলেন ক্রাইম রিপোর্টার জিগনা।

.