Jharkhand BJP MLA Sima Patra: পরিচারিকার উপরে নৃশংস নির্যাতন, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে বিজেপি নেত্রী
সীমার বিরুদ্ধে আর্গরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে বুধবার রাঁচি পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। এই বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাসপেন্ড করে শেষরক্ষা হল না। শেষপর্যন্ত আইনের প্যাঁচে পড়ে জেলেই যেতে হল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে। পরিচারিকার উপরে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বিরোধী দলগুলির তোপের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ঝাড়খণ্ড বিজেপি। শেষপর্যন্ত দলের নেত্রী সীমা পাত্রকে সাসপেন্ড করে দল। সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির এই পদক্ষেপকে গেরুয়া শিবিরের ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আদালতে মামলা ওঠায় আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সীমা।
ঠিক কি কারণে সীমা পাত্রকে বহিষ্কার করল বিজেপি? তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কি অভিযোগ ছিল? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে সীমা তার পরিচারিকা সুনীতার উপর অকথ্য অত্যাচার করতেন। গরম চাটু দিয়ে সুনীতার গায়ে ছ্যাঁকা দেওয়া থেকে মারধর, বাদ ছিল না কিছুই। এমনকি তাকে প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করা হয়েছিল, আনা হয়েছে এমন অভিযোগও। সম্প্রতি পরিচারিকাকে অত্যাচারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই প্রতিবাদে সামিল হয় নেটপাড়া। বিজেপি নেত্রীর এমন নক্কারজনক ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সমগ্র ঝাড়খণ্ড জুড়ে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে শেষপর্যন্ত সীমা পাত্রকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় ঝাড়খণ্ড বিজেপি।
আরও পড়ুন-মরণ-বাঁচন ম্যাচে দুরন্ত মেরিনার্স, ডুরান্ডে টিকে থাকল ফেরান্দোর শিষ্যরা
সীমা পাত্র যে শুধুমাত্র একজন বিজেপি নেত্রী তাই নয়, পাশাপাশি তিনি বিজেপির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যও। তার স্বামী একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস। সুতরাং সীমা পাত্রের সাসপেন্ডের ঘটনা যে ঝাড়খণ্ড বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এই ঘটনা সীমার ছেলে আয়ুষ্মান প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। সে কারণে মারধোর করা হয় আয়ুষ্মানকেও, সামনে এসেছে সেই ঘটনাও।
সীমার বিরুদ্ধে আর্গরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে বুধবার রাঁচি পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। এই বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারাণ্ডীও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ‘দলে অমানবিকতার স্থান নেই, এক্ষেত্রে সীমার পরিচারিকার কাজ পছন্দ না হলে তাকে কাজে বহাল না রাখলেই চলত।’ তবে বিজেপি সীমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সন্তুষ্ট তিনি। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন পুলিশের শীর্ষকর্তাদের থেকে। এমনকি ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
সীমা পাত্রকে আজ কোর্টে পেশ করা হলে বিচারক তাকে চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সীমা। তিনি বলেন বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করা হচ্ছে। সীমার দল বিজেপিও এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি দীপক প্রকাশের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড পুলিশ আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে।