ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ, দরকার অত্যাধুনিক অস্ত্র, জম্মুতে ড্রোন হামলায় কথা Modi-বৈঠকে
রবিবার মধ্যরাতে জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দুটি বিস্ফোরণ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেজন: জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। আরও অত্যাধুনিক অস্ত্রের দরকার সেনাবাহিনীর। ওই হামলার পর্যালোচনায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকের নির্যাস এটাই। সূত্রের খবর, ড্রোন হামলা ভবিষ্যতের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। সেজন্য কীভাবে সেনাকে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সমৃদ্ধ করা যায় সে নিয়ে কথা হয়েছে বৈঠকে। এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষায় তরুণ প্রজন্ম, স্টার্ট আপ ও কৌশলী সম্প্রদায়কে (strategic community) সামিল করা যেতে পারে কিনা তাও আলোচনা হয়েছে।
রবিবার মধ্যরাতে জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দুটি বিস্ফোরণ হয়। একটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনাঘাঁটির ভবন। জখম হন বায়ুসেনার দু'জন আধিকারিক। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে এই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের প্রধান দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সোমবার কালুচক সেনা ঘাঁটিতে যে ড্রোন দেখা গিয়েছিল তার পিছনেও সম্ভবত হাত রয়েছে লস্করের।
গত ২ বছর ধরে পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে খবর আসছে, হামলার জন্য ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান। জম্মু ও পঞ্জাবে এই ধরনের দু'টি করে ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ভোটের আশ্বাস দেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা ফিরে আসুক তা সম্ভবত চায় না পাকিস্তান। সে কারণে তারাই জম্মুতে হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- করোনা আবহেই উপনির্বাচন! রাজ্য BJP-র বৈঠকে Dilip-নির্দেশে জোরালো জল্পনা