Jammu & Kashmir | G20: শ্রীনগরে সোমবার G20 সম্মেলন, ৩ বছর পর বড় ইভেন্ট কাশ্মীরে; নজর গোটা দেশের
শ্রীনগরে তিন দিনের G20 ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে G20 সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ দেখা যাবে। পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র অর্থাৎ সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা, এমএসএমই এবং গন্তব্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হবে এখানে। বিদেশী প্রতিনিধিদের শ্রীনগরের বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের চারু ও কারুশিল্পের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে তৃতীয় G20 ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আয়োজন হতে চলেছে। এই অঞ্চলে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে এটিই প্রথম বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), মার্কোস কমান্ডো এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-কে সভার স্থান শের কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার (SKICC) এর আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bengaluru: জলে ভরা আন্ডারপাসে গলা পর্যন্ত ডুবে গেল গাড়ি, বেরোতে না পেরে মৃত্যু তরুণী ইঞ্জিনিয়ারের
বৈঠকটিতে অংশ নেবে G20 সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারা। পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র অর্থাৎ সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা, এমএসএমই এবং গন্তব্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হবে এখানে। বিদেশী প্রতিনিধিদের শ্রীনগরের বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের চারু ও কারুশিল্পের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
রবিবার SKICC-তে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, G20-র প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন যে শ্রীনগর গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে একটি বিশাল মেক-ওভার এবং উন্নয়নমূলক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, G20 ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সর্বোচ্চ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ রয়েছে এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান' হবে।
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: সোমবার বাতিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
তিনি আরও বলেন, ‘এই সভাকে ব্যবহার করে জম্মু ও কাশ্মীরের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এর হস্তশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করার একটি সুযোগ। পর্যটন গোষ্ঠীর চেয়ে অন্য কোনও ওয়ার্কিং গ্রুপ এটি ভাল করে না’।
এটি জম্মু ও কাশ্মীরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হবে বলে তিনি যোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কচ্ছের রণ থেকে কোহিমা পর্যন্ত এবং কন্যাকুমারী থেকে এখন কাশ্মীর পর্যন্ত ১১৮ টি সভা আয়োজন করেছি। সর্বত্র সংযুক্তির অনুভূতি রয়েছে এবং আমার সন্দেহ নেই যে শ্রীনগরেও একই রকম মনোভাব... আমরা শ্রীনগরের চারপাশে গাড়তে ঘুরে একটি সম্পূর্ণ রূপান্তরিত শহর দেখছি। শ্রীনগর আজ অনেক বেশি সুন্দর। (এতে) আরও ভাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটি সত্যিই একটি স্মার্ট শহর, যা আপনি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চান’।