জামিয়ার লাইব্রেরিতে ‘পুলিসি তাণ্ডবের’ সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
শনিবার জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে। এই কমিটি পরিচালনা করেন প্রাক্তন এবং বর্তমান পড়ুয়ারাই। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় বিক্ষোভ-মিছিল করে জামিয়ার পড়ুয়ারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার লাইব্রেরিতে পুলিসি হানার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। দুষ্কৃতীদের লাইব্রেরি থেকে বার করতেই পুলিস লাইব্রেরির ভিতর প্রবেশ করে। গত বছর ১৫ ডিসেম্বরেই পুলিসি হানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এল। তবে, ওই ভিডিয়োতে যেটুকু দৃশ্য ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে ওল্ড রিডিং হল (এমফিল সেকশন) লাইব্রেরিতে পঠনরত পড়ুয়াদের চড়াও হতে পুলিসের।
শনিবার জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে। এই কমিটি পরিচালনা করেন প্রাক্তন এবং বর্তমান পড়ুয়ারাই। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় বিক্ষোভ-মিছিল করে জামিয়ার পড়ুয়ারা। বেশি কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাস পোড়ানো হয়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামে দিল্লি পুলিস। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। পুলিস ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর। ওল্ড রিডিং হলে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়েছে এই সন্দেহে পুলিসও ঢুকে পড়ে। লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
#JamiaViolence #JamiaProtests #ShameonDelhiPolice
15/12/19 ..Delhi Police barged into Reading room of #JamiaMilliaIslamia and show there 'bravery' on students who were studying pic.twitter.com/4J4agOlRIW
— Akhlaqur Rahman (@akhlaaqur) February 16, 2020
আরও পড়ুন- দিল্লির মসনদে ‘নায়ক ২’, পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে রামলীলা ময়দান
জামিয়ায় ‘পুলিসি তাণ্ডবে’ গুরুতর জখম হন বেশ কিছু পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়ার চোখে গুরুতর চোট লাগে। জামিয়াকে কেন্দ্র করে এরপরে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়। জামিয়ার ৭ নম্বর গেটের সামনে দিনভর প্রতিবাদ দেখান পড়ুয়ারা। পরিবর্তীকালে জামিয়ার সামনেই তৈরি হয় শাহিনবাগের মতো বড় প্রতিবাদ মঞ্চ। যা নিয়ে তোলপাড়় গোটা দেশ।