নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন বাড়লেও অনুপ্রবেশ কমানো গেছে, দাবি জেটলির
ওয়েব ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক বাহিনীর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যা বাড়ছে, সংসদে জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে, সেনা তত্পর থাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনা কমান সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সীমাপারের উস্কানিতে অশান্ত উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। নিয়ন্ত্রণ রেখা, আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাক বাহিনীর কভার ফায়ারিং। গোলাগুলির সুযোগে জঙ্গি ঢোকাতে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের কৌশল নেয় পাক বাহিনী। এই প্রবণতা এখন আরও বেড়েছে বলে সংসদে জানাল সরকার। তবে, সংঘর্ষবিরতির সংখ্যা বাড়লেও সেনা তত্পরতায় কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সংখ্যা কমেছে বলে দাবি সাউথ ব্লকের। নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তে অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থাও সাফল্যের বড় কারণ বলে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর।
ইদানিং কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার সংখ্যা বেড়েছে। জওয়ানদের অধিকাংশই বহিরাগত হওয়ায়, অচেনা উপত্যকায় সমস্যা বাড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোও কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১৬৪০০ জনকে নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, উপত্যকায় CRPF-এর নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হবে, যার প্রতিটিতে থাকবেন ৬০০ জন স্থানীয় যুবক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি বাধাতে পাকিস্তান থেকে আসা অর্থ সাহায্য কাজে লাগান হুরিয়ত নেতারা। কয়েক মাস ধরেই এই সব বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ধরপাকড় শুরু করেছে NIA. ধৃত শাহিদ-উল ইসলামকে জেরায় মিলেছে নতুন তথ্য। শাহিদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানই শুধু নয়। কাশ্মীরের অশান্তি উস্কে দিতে দুবাই এবং লন্ডন থেকেও হুরিয়তের হাতে আসছে টাকা।
পশ্চিমের প্রতিবেশীর ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে ওঠার পিছনে যে পূর্বের প্রতিবেশীর হাত রয়েছে, সে তথ্য নতুন নয়। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের সহায়তায় গড়ে উঠছে একের পর এক নির্মাণ। নিয়ন্ত্রণ রেখার
ওপারে সিন্ধু নদের ওপর বেজিংয়ের সহায়তায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এ দিন রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী VK সিং জানান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সিন্ধু নদের ওপর চিনের সাহায্যে ৬টি জলাধার তৈরি করা হচ্ছে। বেজিং ও ইসলামাবাদের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে এই নির্মাণের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ডোকালা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিনা সক্রিয়তা সাউথ ব্লকের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।