ISRO | XPoSAT: কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজে ইসরো, শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে পাড়ি দিল এক্সপোস্যাট
ISRO | XPoSAT: গতবছর ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশ যান নামিয়েছিল ইসরো। মাস খানেকের মধ্যেই সূর্য গবেষণায় উড়ে গিয়েছিল ইসরোর উপগ্রহ আদিত্য এল ওবার। এবার কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধানে যাত্রা ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইসরোর মুকুটে নতুন পালক। কৃষ্ণগহ্বর গবেষণার লক্ষ্য মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর নতুন উপগ্রহ এক্সপোস্যাটকে(XPoSAT) সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি -সি৫৮ রকেটে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশ্য পাড়ি দিল এক্সপোস্যাট। নাসার পর ইসরোই দুনিয়ার একমাত্র মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যারা এমন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল।
আরও পড়ুন-বর্ষবরণের রাতে পুলিসের ভ্যানকে এসে মারল আবগারি দফতরের গাড়ি, গুরুতর জখম ডিএসপি-সহ ৪
ইসরো সূত্রে খবর টানা ২১ মিনিট উড়ে এই রকেট পৌঁছে যাবে ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর এটি তার কক্ষপথে স্থির হবে। মোট ৭৪০ কোটি ওজন নিয়ে উড়ে গেল পিএসএলভি -সি৫৮। গত বছর ইসরোর মুকুটে উঠেছিল দুটি পালক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামিয়েছিল ইসরো। পাশাপাশি সূর্য অভিযানে পাঠিয়েছিল আদিত্য এল ওয়ান। এবার নতুন বছরের প্রথম দিনেই ইসরো মহাকাশে পাঠাল তার নতুন উপগ্রহ এক্সপোস্যাটকে(XPoSAT) বা এক্স রে পোলার মিটার স্যাটেলাইট।
#WATCH | PSLV-C58 XPoSat Mission launch | ISRO launches X-Ray Polarimeter Satellite (XPoSat) from the first launch-pad, SDSC-SHAR, Sriharikota in Andhra Pradesh.
(Source: ISRO) pic.twitter.com/ua96eSPIcJ
— ANI (@ANI) January 1, 2024
এক্সপোস্যাটকে সফল ভাবে তার কক্ষপথে স্থাপন করা গেলে ভারত হবে দুনিয়ার দ্বিতীয় দেশ যার একটি এক্স পোলার মিটার স্যাটেলাইট থাকেবে মহাকাশে। খুব সরলভাবে বললে এটি হবে ভারতের একটি মহাকাশ অবসারভেটরি। মহাকাশে থেকে এটি ব্ল্যাক হোল সম্পর্কিত তথ্য পাঠবে। এরকম একটি স্যাটেলাইট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। ২০২১ সালে এরকমই একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে নাসা। সেটির আয়ু ছিল ২ বছর। তবে ইসরোর এক্সপোস্যাট কাজ করতে পারবে টানা ৫ বছর
মূলত ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গ্হবর নিয়ে গবেষণা করবে এক্সপোস্যাট। এক্স রে ফোটেন ও তার পোলারাইজেশন ব্যবহার করে করে এক্সপোস্যাট কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়াও এক্সপোস্যাটের গবেষণার তালিকায় রয়েছে সুপারনোভা, নিউট্রনস্টার ও মহাকাশের ৫০টি উজ্জ্বল জ্য়োতিষ্ক। প্রসঙ্গত নিউট্রন কণার গাঢ় ঘনত্ব তৈরি করে নিউট্রন স্টার। তারার মৃত্যু হলে তৈরি হয় কৃষ্ণ গহ্বর। এক আকর্ষণ শক্তি এতটাই বেশি যে এর মধ্যে দিয়ে আলো পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না। অন্যদিকে, নিউট্রন স্টারের ঘণত্ব অত্যন্ত বেশি।
এক্সপোস্যাটকে মহাকাশে পাঠাতে ইসরোর খরচ হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। এই ধরনের উপগ্রহ পাঠাতে নাসা খরচ করেছিল ১৮ কোটি ডলার। নাসার ওই উপগ্রহের আয়ু ছিল ছিল মাত্র ২ বছর। ইসরোর এক্সপোস্যাটের আয়ু হবে ৫ বছর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)