দুবারের ব্যর্থতা মুছে জিএসএলভির সফল উত্‍ ক্ষেপণ ইসরোর

আজ শ্রীহরিকোটা থেকে উত্‍ ক্ষেপণ হল জিএসএলভির। বিকেল ৪.১৮ মিনিটে শুরু হয় উতক্ষেপন। কক্ষপথের দিকে ছুটে যায় ওই রকেট। ২০১০ সালের পরপর এই উত্‍ ক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো।

Updated By: Jan 5, 2014, 08:49 PM IST

--------------------------------------------------
জিএসএলভি ডি ফাইভের সফল উত্ক্ষেপণ করল ইসরো। এই উতক্ষেপণের সঙ্গেই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তিতে সক্ষম এলিট দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত। ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ভারত এই মর্যাদা পেল। আজ বিকেল বিকেল চারটে আঠারো নাগাদ শ্রীহরি কোটা থেকে জিএসএলভি ডি ফাইভের উত্ক্ষেপণ হয়। এর সাহায্যে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট জি স্যাট চোদ্দকে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।

২৯ ঘণ্টা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কাউন্ট ডাউন। কাঁটায় কাঁটায় রবিবার বিকেল চারটে আঠারো। শ্রী হরিকোটা থেকে উতক্ষেপণ করা হল ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জিএসএলভি ডি ফাইভ।

সম্পূর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে জিএসএলভি ডি ফাইভের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। এর আগে মাত্র পাঁচটি দেশ এই ধরণের ইঞ্জিন তৈরি করতে সফল হয়েছে। জিএসএলভি ডি ফাইভের সফল উত্ক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গে ভারতও ঢুকে পড়ল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, জাপান ফ্রান্সের এলিট ক্লাবে। তবে সাফল্যের এই উড়ানটা আদৌ সহজ ছিল না ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। এর আগে দুবার ব্যর্থ হয় জিএসএলভি ডি ফাইভের উত্ক্ষেপণ।
দুহাজার দশের এপ্রিলে প্রথম বার ইসরোর উত্ক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। পরে দুজার তেরোর অগষ্টে জ্বালানি ট্যাঙ্কে ছিদ্র থাকার কারণে বাতিল করে দিতে হয় জিএসএলভি ডি ফাইভের উত্ক্ষেপণ।

এবার তাই আগে থেকেই যথেষ্ট সাবধানতা নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল রকেটের নকশায়। খরচ হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা। রবিবার জিএসএলভি ডি ফাইভের সাহায্যে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট জি স্যাট চোদ্দকে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। টেলি মেডিসিন ও টেলি এডুকেশনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইটটি।

ভবিষ্যেতে জিএসএলভি ডি ফাইভের সাহায্যে বিদেশি স্যাটেলাইট উতক্ষেপণ করতে পারবে ভারত।

.