'আমার সঙ্গে কথা বলো না', পিটারকে চিঠি লিখলেন ইন্দ্রানী

Updated By: Nov 1, 2017, 04:12 PM IST
'আমার সঙ্গে কথা বলো না',  পিটারকে চিঠি লিখলেন ইন্দ্রানী

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দুটি আলাদা হাজতে রয়েছেন। দেখাও হয় কিঞ্চিত্। কিন্তু এখনও শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ইন্দ্রানী ও পিটার মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে চলছে পুরনো মান-অভিমানের খেলা।

সেই জৌলুস, চাকচিক্যের ছাপ আর কারোরই শরীরে নেই। এক রাশ বিষণ্ণতা যে গ্রাস করেছে, তা তাঁদের চেহারাতেই স্পষ্ট। কিন্তু এখনও সকলের সামনে যদি স্বামী তাঁকে এড়িয়ে চলেন, অপমান আর অভিমানে মুখ ভার করেন ইন্দ্রানী। ক্ষোভ উগরে দিয়ে গোপনে লেখেন চিঠিও। সম্প্রতি পিটারকে লেখার ইন্দ্রানীর এমনই একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট : ঘরোয়া বিষাক্ত বায়ুতে মৃত লক্ষাধিক ভারতীয়

২০১৫-এর অগাস্ট থেকেই ইন্দ্রানীর ঠিকানা বাইকুল্লা সংশোধনাগার, অন্যদিকে, ওই বছরেরই নভেম্বর থেকে আর্থার রোডের সংশোধনাগারে রয়েছেন পিটার।জেলসূত্রে খবর, ইন্দ্রানী ও পিটারের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি সময়েই দেখা হয়, যখন শুনানির সময়ে দু'জনেই আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দু'জনেই এক ভ্যানে থাকেন। সেটাই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন কিছুটা সময় একান্তে কাটান তাঁরা।      

সম্প্রতি পিটারকে একটি চিঠি লিখেছেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। চিঠির প্রতিটি লাইনে বেরিয়ে এসেছে ইন্দ্রানীর মনের ক্লেশ। স্বামীর প্রতি জমে থাকা অভিমান। চিঠিতে পিটারকে উদ্দেশ্য করে ইন্দ্রানী বলেছেন, ''আমার সঙ্গে কথা বলবে না। নিজের খাবারের ডাব্বাও আমার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে না। যখন সবার সামনে আমাকে এড়িয়ে চল, তখন লোকচক্ষুর আড়ালে খাবার দেওয়ার অছিলায় আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে না।'' পিটারকে লেখা এই চিঠিই ব্যক্ত করছে, কতটা একাকীত্বে ভুগছেন ইন্দ্রানী! চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ''যখন তুমি তোমার বোন কিংবা পরিবারের লোকেদের সামনে আমার সঙ্গে কথাই বলো না, তখন কেন তোমার জন্য নিয়ে আসা ওঁদের খাবার আড়ালে আমাকে দিতে চাও। এটা আর কোনওদিনও করো না। আমার পছন্দ নয়।'' তাঁর লেখা, ''আমি নিজের সঙ্গেই দিনের পর দিন একটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। জানি না কবে এই মামলা শেষ হবে। আমাকে শক্ত হতে হবে, আমি নিজের মধ্যে কোনও ইমোশন বা দুর্বলতা তৈরি হতে দিতে পারি না। তোমাকে দেখলেই আমি দুর্বল হয়ে যাই। আমার মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা কাজ করে।'' চিঠিতে পিটারের কাছে তিনি আর্জি করেছেন, '' যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকাপয়সার ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলা ভালো। তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে। আর চেষ্টা করবে, যত কম দেখা হয় আমাদের।''

আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ আসন খালি! লাভজনক নয় বুলেট ট্রেন রুট, প্রকাশ আরটিআইয়ে

.