ইন্দিরাকে পিছনে ফেলে ছুটছে মোদীর অশ্বমেধের ঘোড়া
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধী দেশের ১৮টি রাজ্যে কংগ্রেসের ঝান্ডা পুঁতে ছিলেন। সেই জায়গায় ইন্দিরার সেই রেকর্ড আগেই পেরিয়ে গিয়েছিলেন মোদী । এবার সেই ব্যবধান আরও বাড়ল
নিজস্ব প্রতিবেদন: এককভাবে বা জোট করে ক্ষমতায় থাকার দৌড়ে ইন্দিরা গান্ধীকে পেছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। আগেই অবশ্য ইন্দিরা গান্ধীকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন নমো। ত্রিপুরা ও ন্যাগাল্যন্ডে বিজেপির ক্ষমতায় আসায় ইন্দিরাকে আরও পেছনে ফেলে দিল।
আরও পড়ুন-
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধী দেশের ১৮টি রাজ্যে কংগ্রেসের ঝান্ডা পুঁতে ছিলেন। সেই জায়গায় ইন্দিরার সেই রেকর্ড আগেই পেরিয়ে গিয়েছিলেন মোদী । এবার সেই ব্যবধান আরও বাড়ল। তবে এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীকে লড়াই করতে হয়েছে আরও বেশি। ইন্দিরার আমলে দেশে এত আঞ্চলিক দল ছিল না। এমনকী বিরোধী দলও সে ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতেও পারেনি। মোদীর আমলে সব ধরনের বাধা পারতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় বিজয় উত্সবের আবহেই আলাদা রাজ্যের দাবিতে চাপ বাড়াল বিজেপির শরিক
গোবলয় থেকে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যে শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সোয়ানে সোয়ানে টক্কর দিয়ে একের পর এক রাজ্য দখল করেছেন মোদী। কোথাও আবার সমঝোতায় এসে শাসক দলের সরকার পাল্টি খাইয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে বিজেপি। আরও একটি যুক্তি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ইন্দিরার সময়দেশে এতগুলো রাজ্যও ছিল না। এখন মিজোরাম, পঞ্জাব ও কর্ণাটক ছাড়া আর কোনও একভাবে ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস।
রাজ্য দখল করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যে জোট সরকার গঠন করেছে গেরুয়া শিবির। উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে সামজবাদী পার্টিকে ক্ষমতা থেকে তুলে ফেলে দিয়েছে মোদীর দল। ত্রিপুরাতেও আড়াই দশক পরে সরকার বদল করে ফেলল বিজেপি।