India's Most Wanted: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালকে মেক্সিকোয় ধরল দিল্লি পুলিস,ইতিহাসে প্রথমবার
স্বাধীনতার ৭৫বছর পর ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলো এই বছর। মেক্সিকো থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার দীপক বক্সাকে গ্রেফতার করলো পুলিসের একটি বিশেষ দল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দু-তিন দিনের মধ্যেই দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার দীপককে নিয়ে দেশে ফিরবে।
গার্গী রায়: স্বাধীনতার পর ৭৫বছর কেটে গেছে, কিন্তু বহু অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীরা অধরা। এর মূল কারণ হল এই সমস্ত অভিযুক্তরা অপরাধের পরে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। তবে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলো এই বছর। অপরাধীকে হাতকড়া পরালো প্রথমবার দেশের বাইরে গিয়ে পুলিস। দেশে ইতিহাস এই প্রথম এক নজির গড়ল দিল্লি পুলিস।
এই প্রথমবার দেশের বাইরে গিয়ে দিল্লি পুলিসের একটি বিশেষ দল, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের(FBI) সাহায্যে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার (most-wanted gangster) দীপক বক্সাকে গ্রেফতার করলো। মেক্সিকোতে গিয়ে অভিযুক্তকে ৪মার্চ মঙ্গলবার দিন ৭ মাস পর গ্রেফতার করল পুলিসের একটি বিশেষ দল।
আরও পড়ুন: Sikkim Avalanche: নাথু লার কাছে ভয়াবহ তুষারধস, মৃত কমপক্ষে ৭
তার সন্ধান দিলে ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। দীপক গোগি গ্যাং নামে একটি দুষ্কৃতী দলের সদস্য ছিল। গতবছর দলটির প্রধান জিতেন্দ্র গোগিকে খুনের পর গোগি গ্যাংয়ের প্রধান হয়ে উঠেছিল দীপক বক্সার। ২০১৬ সালে বাহাদুরগড়ে দিল্লি পুলিসের হেফাজত থেকে গোগিকে পালাতে সাহায্য করা পর থেকে কুখ্যাত আততায়ী হিসেবে দীপক সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: Delhi Metro: উর্ফির মতো খোলামেলা পোশাকে মেট্রোয় যুবতী, 'ভদ্রতা মেনে চলুন', জারি নির্দেশিকা
২০১৮ সালে যখন মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টের (MCOCA) দ্বারা তার দলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার পলাতক।পলাতক গ্যাংস্টার অপরাধ করতে থাকেন। পুলিস অফিসারদের উপর হামলা এবং জিটিবি হাসপাতাল থেকে কুলদীপ ওরফে ফাজ্জা পালিয়ে যাওয়া। এই দুইটি ঘটনায় যোগসূত্র খুঁজছিল।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে রাজধানী দিল্লিতে সিভিল লাইন এলাকায় প্রকাশ্যে জনসমক্ষে রাস্তায় অমিত গুপ্তাকে গুলি করে। অমিতকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল দীপক। তারপর একটি ফেসবুক পোস্টে খুনের কথা স্বীকার করেছিল সে। পোস্টে সে জানিয়েছিল, আর্থিক গোলযোগের জন্য নয়, বরং প্রতিশোধ নিতেই সে খুন করেছে অমিতকে। অমিত তার বিরোধী গ্যাং তিল্লু তাজপুরিয়াকে সাহায্য় করেছিল বলে দাবি করেছিল দীপক। ঘটনায় পর থেকেই অভিযুক্ত পালাতক ছিল। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাহায্যে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের মুরাদাবাদ থেকে ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশ ছাড়েন। রবি আন্তিল এই ছন্দ নামে কলকাতা থেকে বিমানে করে মেক্সিকোতে পালিয়ে যান বক্সার।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দু-তিন দিনের মধ্যেই দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার দীপককে নিয়ে দেশে ফিরবে।