সুইডিশ সংবাদপত্রে বফর্স নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে

সুইডিশ সংবাদপত্র ড্যাগেন্স নাইহেটারে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। সুইডেন সফরের আগে রাষ্ট্রপতি ওই সংবাদপত্রের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই উঠে আসে বফর্স প্রসঙ্গ। ই-এডিশনে সাক্ষাত্‍কারের ভিডিওটিও প্রকাশ করেছে ড্যাগেন্স নাইহেটার। ২৪ ডিসেম্বর সুইডিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বফর্স দুর্নীতি আদালতে প্রমাণিত হয়নি। গোটা ঘটনাটাই ছিল সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব বিচার প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মুখে এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Updated By: May 27, 2015, 09:35 PM IST
সুইডিশ সংবাদপত্রে বফর্স নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে

ওয়েব ডেস্ক: সুইডিশ সংবাদপত্র ড্যাগেন্স নাইহেটারে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। সুইডেন সফরের আগে রাষ্ট্রপতি ওই সংবাদপত্রের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই উঠে আসে বফর্স প্রসঙ্গ। ই-এডিশনে সাক্ষাত্‍কারের ভিডিওটিও প্রকাশ করেছে ড্যাগেন্স নাইহেটার। ২৪ ডিসেম্বর সুইডিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্‍কার। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বফর্স দুর্নীতি আদালতে প্রমাণিত হয়নি। গোটা ঘটনাটাই ছিল সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব বিচার প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মুখে এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্কার যে ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেছে বিদেশমন্ত্রক। ড্যাগেন্স নাইহেটারকে চিঠি দিয়েছেন সুইডেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। চিঠি তাঁর কাগজে ছাপার জন্যও ড্যাগেন্স নাইহেটারের এডিটর-ইন-চিফকে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, মুখ ফসকে বলে ফেলা কিছু কথা যা সাক্ষাত্কার শেষে রাষ্ট্রপতি অফ দ্য রেকর্ড সংশোধন করে দেন তা প্রকাশ করে আপনারা অপেশাদার এবং অনৈতিক কাজ করেছেন। তখন আপনারা বলেছিলেন, যে কারোরই এটা হতে পারে। এরপরও আপনারা যে ভাবে অত্যন্ত ঔদ্ধ্যতের সঙ্গে এই অংশ আপনাদের রিপোর্টে রেখেছেন তা কোনও একটি প্রথম সারির সংবাদপত্র বা পেশাদার সাংবাদিকের কাছে যে প্রত্যাশা থাকে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিদেশমন্ত্রকের প্রতিবাদ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ওই সুইডিশ সংবাদপত্র। ড্যাগেন্স নাইহেটারের এডিটর-ইন-চিফ পিটার ওলোডারস্কি বলেছেন, এটা খুবই বিস্ময়ের যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে কী প্রশ্ন আমরা করব, কী উত্তর ছাপব তা ঠিক করে দিতে চাইছেন। আমি রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে দিয়েছি যে তাঁর দাবি মানা সম্ভব নয়। ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিক্রিয়া পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে আমরা বাধ্য।

.