'মিস্টার ইন্ডিয়া'র মতো এবার অদৃশ্য হয়েই সীমান্তে লড়বে সেনা
আর ভারতীয় সেনার জন্য এই 'অতিমানবিক শক্তি'র ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে কানপুর আইআইটি। অন্তত তাঁদের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মিস্টার ইন্ডিয়াকে মনে আছে! অদৃশ্য হয়ে 'দুষ্টু লোক'দের বিরুদ্ধে লড়ত। এবার সেই ক্ষমতা পেতে চলেছেন ভারতীয় জওয়ানরা। তাঁরাই এবার হয়ে উঠবেন বাস্তবের 'মিস্টার ইন্ডিয়া'। অদৃশ্য হয়ে লড়বেন জঙ্গি, শত্রু দেশের সেনার সঙ্গে। এমনকী, জঙ্গি নিধনে প্রতিবেশী দেশে ঢুকে তাঁরা অদৃশ্য অবস্থাতেই করতে পারবেন 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'।
আর ভারতীয় সেনার জন্য এই 'অতিমানবিক শক্তি'র ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে কানপুর আইআইটি। অন্তত তাঁদের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, তারা একটি মেটামেটিরিয়াল তৈরির ফর্মুলা আবিষ্কার করেছে। যার মাধ্যমে সেনা জওয়ানরা যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের 'অদৃশ্য' করে লড়াই করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রিমোট কন্ট্রোলে’ চলতেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি! বিস্ফোরক বিচারপতি ক্যুরিয়েন
কানপুর আইআইটির দাবি, ওই মেটামেটিরিয়াল ব্যবহার করলে সেনা জওয়ান বা জওয়ানদের ব্যবহারকারী ট্যাঙ্ক, সবই বিপক্ষের ব়্যাডারের বাইরে চলে যাবে। কোনওভাবেই জওয়ান বা ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করা যাবে না। ফলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো অভিযান আরও ভালো ভাবে করা যাবে বলে তাদের দাবি। এতে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হবে বলে কানপুর আইআইটি-র তরফে দাবি করা হয়েছে।
কীভাবে কাজ করবে এই মেটামেটিরিয়াল, তা জানতে হলে আগে জানতে হবে কীভাবে অন্যদেশ আমাদের দেশের জওয়ানদের গতিবিধি টের পেয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই কাজটা করা হয় হিট রেডিয়েশন দিয়ে। কোনও ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার মাধম্যে এটা কাজ করে। এছাড়া ব়্যাডারের তরঙ্গ কোনও বিমানে ধাক্কা খেয়ে তার উপস্থিতি বলে দেয়।
আরও পড়ুন: বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডব, জনতা-পুলিস সংঘর্ষে পুলিসকর্মী-সহ মৃত ২
কানপুর আইআইটির দাবি, ঠিক এই জায়গাটাতেই কাজ করবে ওই মেটামেটিরিয়াল। এর সাহায্যে কেউই সেনা জওয়ানদের শরীরের তাপমাত্রা টের পাবে না। আবার ব়্যাডারের তরঙ্গ যুদ্ধবিমানের গায়ে লাগলেও তা ফিরে যাবে না। ফলে ওই বিমানের উপস্থিতিও কেউ টের পাবে না। তাদের বক্তব্য, আসলে মেটামেটিরিয়াল বিদ্যুত্ বা চৌম্বকীয় তরঙ্গে হেরফের ঘটাতে বা সেটিকে শোষণ করে নিতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের মেটামেটিরিয়াল তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওই মেটামেটিরিয়ালটি অনেকটাই ভারী। তাই এর কর্মক্ষমতা অনেকটাই সীমিত। সেই তুলনায় কানপুর আইআইটির এই মেটামেটিরিয়ালটি অনেকটাই হালকা হবে। তার ফলে এর ব্যবহারও অনেক বেশি জায়গায় করা যাবে। ফলে এক্ষেত্রে ভারত সহজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলতে পারবে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস এখন 'গান্ধী-নেহরু প্রাইভেট ফার্ম' হয়ে গিয়েছে, অভিযোগ অমিত শাহের
কিন্তু কতটা পিছনে ফেলা যাবে, তা ঠিক করতে হবে ডিআরডিও-কে। আপাতত তারা কানপুর আইআইটি-র এই আবিষ্কারের উপর কাজ শুরু করেছে। সেই কাজ সফল ভাবে শেষ হলে তবেই এই মেটামেটিরিয়াল ভারতীয় সেনার অংশ হতে পারবে।