লাদাখ উত্তেজনার মধ্যে ৪৫ দিন ১২ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের

অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল নাগ থেকে শুরু করে সুপারসনিক ব্রহ্মসের পরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। আর উত্তেজনার পারদ চড়েছে দুই প্রতিবেশী দেশে

Updated By: Oct 24, 2020, 07:39 PM IST
লাদাখ উত্তেজনার মধ্যে ৪৫ দিন ১২ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখ উত্তেজনার মধ্যেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে চিন ও পাকিস্তানকে তো বটেই গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারত। অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল নাগ থেকে শুরু করে সুপারসনিক ব্রহ্মসের পরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। আর উত্তেজনার পারদ চড়েছে দুই প্রতিবেশী দেশে। মাত্র ৪৫ দিনে ১২টি মিসাইলের সফল পরীক্ষা সেরে ফেলেছে ভারত।

আরও পড়ুন-অষ্টমীর বিকেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে রাজ্যপাল! বললেন, উনি লিভিং স্টেটসম্যান

গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা করা হয়  পৃথ্বী-২ এর। পাল্লা সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম ওজন বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের আগেকার পাল্লা ছিল ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা করা হয় ব্রহ্মসের নতুন একটি সংস্করণের। এটির পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার। শব্দের থেকে তিনগুণ গতি বেগে ছুটতে পারে ব্রহ্মসের এই মডেল।

ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়ার মতো মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে মহারাষ্ট্রের আহমদনগরে। ১ অক্টোবর এমবিটি অর্জুন থেকে ছোড়া হয় ওই লেসার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল। পাল্লা ৫ কিলোমিটার।

হাইপারসোনিক শৌর্য মিসাইলের পরীক্ষা হয় ৩ অক্টোবর। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণযোগ্য এই মিসাইলের পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার। গতি শব্দের থেকে অন্তত সাত গুণ। বহনক্ষমতা সর্বাধিক হাজার কেজি।

ভারতের হাতে এখন অত্যন্ত শক্তিশালী জলযুদ্ধে হাতিয়ার স্মার্ট। ৫ অক্টোবর এর পরীক্ষা হয়েছে। ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত কার্যকারী এই মিসাইল।

আরও পড়ুন-আয়কর দাতাদের জন্য বড়খবর, IT রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা অনেকটাই বাড়াল কেন্দ্র

৯ অক্টোবর পরীক্ষা করা হয় রুদ্রম-১ এর। রেডার বিধ্বংসী এই মিসাইলের গতি শব্দের থেকে দুগুণ। বিমান থেকেও এটিকে ছোড়া যায়। পাল্লা ২৫০ কিলোমিটার।

১৮ অক্টোবর আইএনএস চেন্নাই থেকে পরীক্ষা করা হয় ব্রহ্মসের একটি সংস্করণের। পাল্লা ২৯০ কিলোমিটার গতি, শব্দের থেকে তিনগুণ। জল, স্থল ও আকাশ থেকে ছোড়া যায় এটি।

১৯ অক্টোবর পরীক্ষা করা হয় ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত-এর। মূলত বিমান বাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে এটিকে।

.