অবশেষে সম্মতি পাকিস্তানের, ২৩ অগাস্ট প্রথম ভারত-পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক
অবশেষে সম্মতি পাকিস্তানের। এমাসের তেইশ তারিখ নয়াদিল্লিতে হচ্ছে ভারত-পাক প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক।
ব্যুরো: অবশেষে সম্মতি পাকিস্তানের। এমাসের তেইশ তারিখ নয়াদিল্লিতে হচ্ছে ভারত-পাক প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক।
দশই জুলাই, উফা। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে একযোগে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দু দেশই। জারি হয়েছিল যৌথ বিবৃতিও। সেসময়ই দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকের রুপরেখা স্থির হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। একশো আশি ডিগ্রি অবস্থান বদল পাকিস্তানের। সীমান্তে প্রতিদিনই শুরু হয় লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি। পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। গুরদাসপুর ও উধমপুরে জঙ্গি হামলায় সরাসরি পাক যোগের বিষয়টি সামনে আসে। কাসভের পর ভারতের হাতে জীবিত অবস্থায় প্রথমবার ধরা পড়ে যায় লস্কর জঙ্গি নাভেদ। ইসলামাবাদ অস্বীকার করলেও, পাকিস্তানের ফৈয়সলাবাদে যে তার বাড়ি গোয়েন্দাদের কাছে বার বার তা স্বীকার করেছে নাভেদ। এই পরিস্থিতিতে, ভারত-পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক ঘিরে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। নয়াদিল্লি ২৩ ও ২৪ তারিখ বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও, এতদিন সম্মতি দেয়নি ইসলামাবাদ। শেষপর্যন্ত বেলারুশ সফরে সেরে পাক প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই বৈঠকে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান। পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জানিয়ে দিয়েছেন, তেইশ তারিখ নয়াদিল্লি সফরে আসছেন তিনি। বৈঠক করবেন এদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।
কূটনৈতিক মহলের মতে, সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে অপ্রিয় প্রশ্ন এড়াতেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে গড়িমসি করছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু, শেষপর্যন্ত ঘরে বাইরে চাপের মুখে বৈঠকে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ। বৈঠকে ভারত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে কতটা চাপে ফেলতে পারে এখন সেটাই দেখার।