চিনের দুঃসাহসের পাল্টা তৈরি 'আকাশ', লাদাখে এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় ভূখণ্ডে এখনও প্রবেশ করেনি চিনা বিমান বা কপ্টার। তবে ১০ কিলোমিটার দূরেই চক্কর কাছে চিন।

Updated By: Jun 27, 2020, 08:01 PM IST
চিনের দুঃসাহসের পাল্টা তৈরি 'আকাশ', লাদাখে এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম

নিজস্ব প্রতিবেদন: যুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে চিন। সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে ভারতের। ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে এবার আর শুধু কথা নয়, হাতে গরম পাল্টা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোতায়েন শক্তিশালী টি নাইন্টি ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। এর পাশাপাশি পূর্ব লাদাখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম  (ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা)। 

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় ভূখণ্ডে এখনও প্রবেশ করেনি চিনা বিমান বা কপ্টার। তবে ১০ কিলোমিটার দূরেই চক্কর কাছে চিন। যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে চিনকে পাল্টা দিতে তৈরি ভারতও। লাদাখের আকাশে উড়ছে যুদ্ধবিমান ও অ্যাপাচে কপ্টার। এর পাশাপাশি চিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করলে পাল্টা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১৯৬২ সালের ভুল আর করতে চায় না ভারত সরকার।

সংবাদ সংস্থা ANI-কে সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, চিনের বায়ুসেনার যুদ্ধবিমাব বা পিপলস লিবারেশন আর্মির চপার ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে দুঃসাহস দেখাতে পারে। সে কারণে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। রাখা হয়েছে এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও। সূত্রের খবর, এক বন্ধুরাষ্ট্রের থেকে শীঘ্রই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পেতে চলেছে ভারত। এর সঙ্গে থাকছে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রও। আকাশে অব্যর্থ নিশানায় আঘাত হানতে পারে এটি। উচ্চতার কথা মাথায় রেখে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের জরুরি বদলও করেছে ভারত।  শত্রুর যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইলকে ধ্বংস করে দেবে আকাশ।   

লাদাখের আকাশে উড়ছে এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার চিনুক। বিভিন্ন এয়ারবেসে মোতায়েন ফাইটার জেট। এসবের মধ্যে চিনেকে পাল্টা দিতে পাঁচ হাজার নেপালি জওয়ানকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিহার রেজিমেন্টের  হাতেই বেধড়ক মার খেয়েছে চিন। সেখানে পাহাড়ি যুদ্ধে তুখোড় নেপালি বা গোর্খা জওয়ানদের সামলানো মুশকিল। সাতটি রেজিমেন্টের চল্লিশ হাজার গোর্খা ভারতীয় ফৌজে রয়েছেন। তারমধ্যে আপাতত পাঁচ হাজার সেনাকে জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হচ্ছে।

পেট্রোলিং পয়েন্ট ফর্টিনের কাছে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা সেনা। বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফেলেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।  যারমধ্যে রয়েছে বটল নেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট। এই এলাকা ভারতের মধ্যে। অথচ এখন চিনা সেনার দখলে। পিপি টেন, ইলেভেন, ইলেভেন এ, টুয়েলভ ও থার্টিনে যাওয়ার রাস্তা এই ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকেই। ফলে ওই সব এলাকায় যেতে পারছে না ভারতীয় সেনা। 

 আরও পড়ুন- দিল্লিতে বৃহত্তম করোনা হাসপাতালে পরিদর্শন অমিত-কেজরীবালের

.