মানব উন্নয়নে সূচকে একধাপ এগোল ভারত, শিক্ষা-চাকরিতে পুরুষ-মহিলা অসাম্য
বিশ্বজুড়ে এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। তার পর সুইত্জারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানব উন্নয়ন সূচকে একধাপ এগোল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন প্রকল্পে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯টি দেশকে নিয়ে গঠিত সূচকে ১৩০ নম্বর স্থানে উঠে এল ভারত। ২০১৭ সালের মানব উন্নয়ন সূচকের মাপ ০.৬২৪। তবে মহিলা ও পুরুষের মধ্যে ফারাক রয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান ফ্র্যাঙ্কিন পিকআপ। তাঁর মতে, ''শিক্ষা ও কর্মস্থলে বঞ্চিত হচ্ছেন মহিলারা। সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা''।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আয়ের মতো বিষয়ের উপর নির্ভর করে মানব উন্নয়ন সূচক। গত কয়েক দশক ধরে এই সূচকে ধীরে ধীরে শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে ভারতের। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মানব উন্নয়ন সূচকের মাপ ০.৪২৭ থেকে ০.৬৪০ পর্যন্ত ঘোরাফেরা করত। ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে সূচকের মূল্যে। এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, দারিদ্র সীমার বাইরে আসতে সক্ষম হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ের চেয়েও বেশি ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক মূল্য। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যথাক্রমে ১৩৬ ও ১৫০ তম স্থানে রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। তার পর সুইত্জারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। শেষে রয়েছে নাইজার (১৮৯ তম স্থানে)। আফ্রিকার আরও তিনটি দেশ ও এশিয়ার একটি দেশ তলানিতে রয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, দক্ষিণ সুদান, চাঁদ ও বুরুন্ডির মতো দেশের অবস্থা শোচনীয়।
১৯৯০ থেকে ২০১৭ ভারতে জন্মের পর গড় আয়ু প্রায় ১১ বছর বেড়েছে। বর্তমানে স্কুলে পড়াশুনোর সময় বেড়েছ হয়েছে ৪.৭ বছর। তা ১৯৯০ সালের চেয়ে অনেকটাই দীর্ঘ। অসাম্যের কারণে ২৬.৮ শতাংশ মানব উন্নয়ন সূচক মূল্য হারিয়েছে ভারত। অসাম্য দেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আর্থিক ক্ষেত্রে আয়ের ফারাক চোখে পড়ার মতো। যদিও বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে খরচ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সবক্ষেত্রেই প্রান্তিক মানুষের কাছে সম্পদের ভাগ পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। তা সত্ত্বেও এব্যাপারে অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সংসদে ১১.৬ আসন রয়েছে মহিলাদের। প্রাথমিকের পরের ধাপে পৌঁছতে পেরেছে ৩৯ শতাংশ মহিলা। ৬৪ শতাংশ পুরুষ প্রাথমিকের পরের ধাপে পৌঁছতে পেরেছে। শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ করেছে ২৭.২ শতাংশ মহিলা, অন্যদিকে পুরুষ রয়েছে ৭৮.৮ শতাংশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান ফ্যাঙ্কিন পিকআপের কথায়, ''সার্বিক উন্নয়ন সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর জীবন, জ্ঞান ও ঠিকঠাক জীবনযাত্রা থেকে বঞ্চিত মহিলারা''।
আরও পড়ুন- তরুণীকে লাথি, কিল, ঘুষি, রাজনাথের নির্দেশের পর গ্রেফতার দিল্লির পুলিস কর্মীর ছেলে