পাঁচ দিন ধরে ধর্মঘটে সরকারি হাসপাতালের ১৬,০০০ চিকিত্সক! সঙ্কটে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল তামিলনাড়ুর সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদের ধর্মঘট। 

Updated By: Oct 29, 2019, 01:15 PM IST
পাঁচ দিন ধরে ধর্মঘটে সরকারি হাসপাতালের ১৬,০০০ চিকিত্সক! সঙ্কটে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
ছবি: এএনআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল তামিলনাড়ুর সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদের ধর্মঘট। পর্যায়ক্রমিক বেতন বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য বিভাগের সমস্ত অসঙ্গতি সংশোধন, নতুন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ-সহ একাধিক দাবিতে ‘ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতৃত্বে গত শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন রাজ্যের ১৬ হাজারেরও বেশি চিকিত্সক।

সোমবার থেকে সরকারি হাসপাতালগুলির সিনিয়র সার্জেনরাও এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। ফলে সোমবার থেকেই ছোটখাটো অস্ত্রপচার, আউটডোরের সাধারণ চিকিত্সা পরিষেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি বিভাগ কোনও রকমে চালু রয়েছে।

এর আগেও জুলাই মাসে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সুষ্ঠভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে সমান এবং পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবিতে এক দিনের অনশনে বসেন তিরুচিরাপল্লি, চেন্নাই ও সালেমের মেডিকেল অফিসাররা। ২০ অগাস্ট একাধিক দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হল তামিলনাড়ুর একাধিক সরকারি হাসপাতালের ইন্টার্নরা। সেপ্টেম্বরেও একাধিক দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন সরকারি হাসপাতালের পাঁচ চিকিত্সক। এর পরই ছ’ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের চিকিত্সকদের দাবি-দাওয়াগুলি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে তামিলনাড়ু সরকার। সরকারি আশ্বাসে অনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন ওই চিকিত্সকরা। কিন্তু সরকারি আশ্বাসের পর প্রায় দু’মাস পেরিয়েও সরকারি হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি একটুও বদলায়নি। মেটানো হয়নি চিকিত্সকদের দাবি-দাওয়াগুলিও। ফলে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফের ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন তামিলনাড়ুর ১৬ হাজারেরও বেশি চিকিত্সক।

আরও পড়ুন: পেটে অসহ্য ব্যথা! AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হল ইডি হেফাজতে থাকা পি চিদম্বরমকে

ইতিমধ্যেই ধর্মঘটে সামিল হওয়া চিকিত্সকদের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী ডিএমকের মুথুভেল করুণানিধি স্টালিন। এই আন্দোলনে তিনি চিকিত্সকদের পাশে আছেন বলেও আশ্বাস দেন। এরপর স্টালিন সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য সরকারের উচিত চিকিত্সকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অচলাবস্থা কাটাতে যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

.