টানা ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার, এক শরীর থেকে দুটি প্রাণকে আলদা করতে সফল ডাক্তার দল
আসল পরীক্ষাটি তখনই হবে যখন বাচ্চারা খাবার খাবে এবং হজম করতে পারবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুটো হৃদয় একটা শরীরে। সমান তালে ধুকপুক করছে হৃদযন্ত্র। চলছে শ্বাস প্রশ্বাসও। কিন্তু একটা ক্ষীণ চামড়ার স্তরে আটকে রয়েছে দুটি হৃদয়। যাকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন লখনউয়ের ডাক্তাররা। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে চলেছে অস্ত্রপ্রচার। এখন সুস্থ দুই শিশু।
কিং জর্জের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা নয় ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার করার পরে সফলভাবে জোড়া যমজকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন। কেজিএমইউতে এই প্রথম এমন কোনও অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোর রাতে শেষ হয়েছে সার্জারি। বাচ্চারা ভাল আছে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডাক্তারদের কথায় আসল পরীক্ষাটি তখনই হবে যখন বাচ্চারা খাবার খাবে এবং হজম করতে পারবে। তখনই আমরা বলতে পারি সার্জারি সফল হয়েছে। গত বছর নভেম্বরে কুশিনগর জেলায় এক সদ্য মা জন্ম দেয় জোড়া যমজ সন্তানের।
শরীরের মধ্যে ছিল দুটি প্রাণ। জুড়ে ছিল এপিকার্ডিয়াম (হৃদয়ের বাইরের অংশ), বুক এবং খাদ্যনালির একটি অংশ। বাবা-মা কয়েক মাস আগে একটি এনজিওর সহায়তায় যমজকে কেজিএমইউতে নিয়ে এসেছিলেন।
যমজ শিশুর শল্য চিকিৎসা বিভাগ কর্তৃক প্রথম পরীক্ষা করে পরামর্শ দেওয়া হয়, তাদের বিচ্ছেদ কমপক্ষে এক বছর বয়স হওয়ার পরে করা উচিত। বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস.এন. কুড়িল বিভিন্ন সুপার-স্পেশালিটি বিভাগের সহায়তায় যমজকে আলাদা করার জন্য অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করেছিলেন।
পেডিয়াট্রিক্স সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কুরিল এবং জেডি রাওয়াত এই অস্ত্রোপচার করেন যেখানে ছিলেন গ্যাস্ট্রো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অভিজিৎ চন্দ্র এবং তার সহকর্মী বিবেক গুপ্ত লিভার এবং খাদ্য নালি আলাদা করার অস্ত্রোপচার করেন।