গ্রেফতার হয়নি কেউ, দল গঠন করে চলছে বিস্ফোরণের তদন্ত
হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের দু`দিন পরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিস। ছ`জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনও সূত্র না মেলায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাক নাগরিক ফৈয়জ কাকজি ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি রাজু ভাইয়ের খোঁজ চলছে। গতকাল রাতে ফের তিহার জেলে বন্দি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি মকবুলকে জেরা করে পুলিস। তদন্তের জন্য ১৫টি দল গঠন করা হয়েছে। হায়দরাবাদে জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে পারে বলে গত নভেম্বরেই খবর পাওয়া গিয়েছিল। খোদ পুলিস কমিশনার গতকাল এই স্বীকারোক্তি করেছেন। এরপরও, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের দু`দিন পরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিস। ছ`জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনও সূত্র না মেলায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাক নাগরিক ফৈয়জ কাকজি ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি রাজু ভাইয়ের খোঁজ চলছে। গতকাল রাতে ফের তিহার জেলে বন্দি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি মকবুলকে জেরা করে পুলিস। তদন্তের জন্য ১৫টি দল গঠন করা হয়েছে। হায়দরাবাদে জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে পারে বলে গত নভেম্বরেই খবর পাওয়া গিয়েছিল। খোদ পুলিস কমিশনার গতকাল এই স্বীকারোক্তি করেছেন। এরপরও, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত নভেম্বরেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ধৃত কয়েকজন সদস্যকে দিল্লি গিয়ে জেরা করে আসেন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই জানা গিয়েছিল, দিলসুখনগর সমেত শহরের একাধিক জায়গায় রেইকি করে গিয়েছে জঙ্গিরা।
এরপরে চলতি মাসেও, হায়দরাবাদে জঙ্গি নাশকতার সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রশ্ন উঠছে নাশকতার নির্দিষ্ট তথ্য সত্ত্বেও, কেন বিস্ফোরণের ঘটনা এড়ানো গেল না? প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পর এখনও কার্যত ঘটনার সূত্র হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে এসিপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে ছটি দল গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। শুরু হয়েছে শহরজুড়ে তল্লাশি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এতকিছুর পরেও, ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিস।
পুলিসের সন্দেহ, ঘটনার পিছনে রয়েছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনেরই নতুন কোনও মডিউল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দিলসুখনগরের দুটি জায়গায় সাইকেলে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল যা পরে টাইমারের মাধ্যমে ফাটানো হয়। বিস্ফোরণে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরক ও বিস্ফোরণের প্রকৃতি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের পূর্ববর্তী নাশকতার সঙ্গে মিলে যাওয়ায়, নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনকেই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। যদিও, এরপরেও অপরাধী চিহ্নিত না হওয়ায় ঘোষণা করা হয়েছে পুরস্কার।
বিস্ফোরণের তদন্তে হায়দরাবাদ পুলিসের অন্যতম হাতিয়ার সে দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিসসূত্রে খবর, ফুটেজে দেখে পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গেছে। আপাতত তাকে ভিত্তি করেই এগোতে চাইছেন গোয়েন্দারা।