খারিজ কাশ্মীর উপত্যকার হুরিয়ত নেতা মাসারাত আলমের জামিনের আবেদন
শনিবার বাদগামের একটি স্থানীয় আদালতে খারিজ হয়ে গেল হুরিয়ত নেতা মাসারাত আলমের জামিনের আবেদন। গত সপ্তাহে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের অধীনে ৪৫ বছরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
শ্রীনগর: শনিবার বাদগামের একটি স্থানীয় আদালতে খারিজ হয়ে গেল হুরিয়ত নেতা মাসারাত আলমের জামিনের আবেদন। গত সপ্তাহে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের অধীনে ৪৫ বছরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার মুসলিম লিগ চেয়ারম্যান ও হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা মাসারাত আলম ভাটের আটককে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাশ্মীর উপত্যকা।
হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সঈদ আলি শাহ গিলানির ডাকে রাস্তায় নামে হুরিয়তপন্থীরা।
শ্রীনগরের রাস্তায় গত সপ্তাহে সেনার গুলিতে কিশোরের মৃত্যু ও আলমের আটককে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শইয়ে শয়ে মানুষ। প্রত্যেকের কণ্ঠেই ইসলাম পন্থী, ভারত বিরোধী স্লোগান। চাহিদা স্বাধীন কাশ্মীরের। বহু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
এরপরেই এক দল যুবকের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। সংঘর্ষের জেরে ওই অঞ্চল কার্যত বনধের চেহারা নেয়।
পুরনো শহরাঞ্চলেও পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। অশান্তি ছড়িয়ে পরে পার্শ্ববর্তী গোজওয়ারা ও রাজৌরি কাদালে। বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগাতার চলে এই সংঘর্ষ।
উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল ওই একই কারণে উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়।
দক্ষিণ কাশ্মীরে প্রতিবাদ সভা করেন মুসলিম লিগ নেতারা।