পুরসভায় খাতায় ‘বাংলাদেশি’, ভেঙে দেওয়া হল শ্রমিকদের ১০০ ঝুপড়ি
পীড়িতদের পক্ষে আইনজীব বিনয় শ্রীনিবাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, যে ভাবে বস্তি ভাঙা হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হল প্রায় একশো ঝুপড়ি। বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় ওইসব ঝুপড়ি ভেঙে দেওয়ার ফলে ঘরহারা কয়েকশো মানুষ। তাদের দাবি, যে প্রমাণপত্র চান দেখুন, আমার কিন্তু বাংলাদেশি নই।
আরও পড়ুন-সল্টলেকের রাস্তায় গড়াগড়ি যাচ্ছে সংরক্ষিত ৩০০ বছরের পুরনো মূর্তি
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি। দাবি করা হয় বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় অবৈধভাবে একটি বস্তি গড়ে তুলেছে বাংলাদেশিরা। তার পরেই ওই বস্তি ভেঙে ফেলে বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা।
Few people have taken shelter under illegally constructed sheds located in Kariyammana Agrahara of Bellanduru which is within the jurisdiction of our Mahadevapura Assembly constituency. 1/3 pic.twitter.com/WjvmWlSE55
— Aravind Limbavali (@ArvindLBJP) January 12, 2020
Marathahalli police has arrived at the settlement next to Sakra Hospital in Bellandur to demolish houses. Police say that a news report stated that Bangladeshis stay here but residents are asking the police to check their IDs before demolishing. pic.twitter.com/Zv1pfcBW2L
— Prajwal (@prajwalmanipal) January 19, 2020
পুরসভার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় ওই অবৈধ বস্তি গড়ে ওঠার ফলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার বস্তিটির একশো ঝুপড়ি ভেঙে ফেলে পুরসভা।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যাদের ঘর ভাঙা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ত্রিপুরা কিংবা অসমের নাগরিক। এছাড়াও রয়েছেন বেঙ্গালুরুর কয়েকজন। পুরসভার বুলডোজার ঘরে ভেঙেছে অসমের বাসিন্দা মুন্নির। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, কোনও আগাম নোটিস ছাড়াই বস্তিতে এসে ঘর ভাঙতে শুরু করে পুলিস। ঘর থেকে মালপত্র বের করতে সময় পাইনি। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভেবে এসব করেছে পুলিস। কিন্তু ওরা কেন আমাদের নথিপত্র দেখছে না!
আরও পড়ুন-মোদী-শাহের সাম্রাজ্যে বিজেপি সভাপতি পদে 'বন্ধু' জেপি নাড্ডাই
চার বছর আগে অসম থেকে ওই বস্তিতে এসেছিলেন মহম্মদ আসাদ-উল। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা এখানে সিকিউরিটি গার্ড ও ঝাড়ুদারের কাজ করি। পুলিস যদি মনে করে আমরা অবৈধ নাগরিক তাহলে তাদের উচিত আমাদের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা।
এদিকে, পীড়িতদের পক্ষে আইনজীব বিনয় শ্রীনিবাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, যে ভাবে বস্তি ভাঙা হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি। বস্তি ভাঙার কোনও নির্দেশেই ছিল না পুরসভার কাছে। পুলিস ওই বস্তির মালিকদের কাছে নোটিস দিয়ে বলে, ওখানে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা থাকে। ওদের সরিয়ে দিতে হবে। ওই নোটিস অবৈধ। পুলিস নোটিস দিতে পারে না।