নোটের জন্য ভোগান্তির শেষ কবে? উঠছে প্রশ্ন

বাতিল নোটের বদলে মাত্র ৩০ শতাংশ নতুন নোট বাজারে এসেছে। এ মাসের মধ্যে খুব বেশি হলে আসতে পারে ৫০ শতাংশ। নোট-দুর্ভোগ যে এখনই কমছে না, খোদ অর্থমন্ত্রকের বক্তব্যেই মিলেছে তার ইঙ্গিত। নোটের জন্য ভোগান্তি কবে শেষ হবে? কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী - আম-জনতার প্রশ্ন একটাই। অাজ কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস যা জানালেন, তাতে কিন্তু খুব একটা আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না।

Updated By: Dec 15, 2016, 09:26 PM IST
নোটের জন্য ভোগান্তির শেষ কবে? উঠছে প্রশ্ন
ছবিটি প্রতীকী

ওয়েব ডেস্ক : বাতিল নোটের বদলে মাত্র ৩০ শতাংশ নতুন নোট বাজারে এসেছে। এ মাসের মধ্যে খুব বেশি হলে আসতে পারে ৫০ শতাংশ। নোট-দুর্ভোগ যে এখনই কমছে না, খোদ অর্থমন্ত্রকের বক্তব্যেই মিলেছে তার ইঙ্গিত। নোটের জন্য ভোগান্তি কবে শেষ হবে? কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী - আম-জনতার প্রশ্ন একটাই। অাজ কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস যা জানালেন, তাতে কিন্তু খুব একটা আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না।

৮ই নভেম্বর নোট বাতিলের দিন ৫০০ ও ১০০০টাকার নোটে বাজারে ছিল প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত বাজারে ছাড়া হয়েছে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, সাড়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি রয়ে গেছে।

আরও পড়ুন- নয়ডার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে হানা আয়করের, রাজস্থান থেকে উদ্ধার ৩৫ লাখ টাকার নতুন নোট

৮ই নভেম্বর বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার যে পরিমাণ নগদ ছিল তা যে ৩০-শে ডিসেম্বরের মধ্যে পূরণ হচ্ছে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব। ডিজিটাল অর্থনীতির নামে ভবিষ্যতেও নোট-ঘাটতি বজায় রাখা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে সাড়ে ১৫ লক্ষ কোটির মধ্যে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা পড়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা পড়বে আরও টাকা।

কালো টাকা কোথায় গেল?

সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। আপাতত হিসাবে ভুল-চুকের কথা বলে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় অর্থমন্ত্রক। এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট ছাপা কমিয়ে এ বার ৫০০ টাকার নোট ছাপানোয় বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। কম অঙ্কের নোট বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়াও জারি থাকছে। গ্রামীণ এলাকায় ও সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানোয় জোর দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব জানান, ব্যাঙ্ককর্মীদের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হওয়ার অভিযোগ ওঠায় সন্দেহজনক লেনদেনের ওপর নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন নোট জাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম বলেও এদিন জানান তিনি।

 

.