অশান্তি এড়াতে ফের গৃহবন্দি করা হল চরমপন্থী হুরিয়ত নেতা গিলানিকে

ভারত-পাকিস্তানের NSA পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়েছে। কিন্তু, কাশ্মীরে উত্তেজনার বিরাম নেই। অশান্তি এড়াতে ফের একবার গৃহবন্দি করা হল চরমপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। আজ এক জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। কিন্তু, সকাল থেকেই হায়দরপোরা এলাকায় তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদে গিলানির বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁর সমর্থকরা।  

Updated By: Aug 23, 2015, 12:58 PM IST
অশান্তি এড়াতে ফের গৃহবন্দি করা হল চরমপন্থী হুরিয়ত নেতা গিলানিকে

ওয়েব ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের NSA পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়েছে। কিন্তু, কাশ্মীরে উত্তেজনার বিরাম নেই। অশান্তি এড়াতে ফের একবার গৃহবন্দি করা হল চরমপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। আজ এক জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। কিন্তু, সকাল থেকেই হায়দরপোরা এলাকায় তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদে গিলানির বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁর সমর্থকরা।  

ভেস্তেই গেল ভারত-পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক। ভারতে আসছেন না সারতাজ আজিজ। জানানো হল পাক সরকার সূত্রে। দিল্লির শর্ত মেনে সম্ভব নয় বৈঠক। জানাল ইসলামাবাদ।

সিমলা চুক্তি এবং উফা সমঝোতা মেনে বৈঠকে রাজি কিনা তা জানাতে পাকিস্তানকে আজ রাত বারোটা পর্যন্ত সময় দিয়ে ছিলেন সুষমা স্বরাজ। অবশ্য আগে থেকেই সূত্রে খবর ছিল, পাকিস্তান তা মানতে রাজি নয়। ফলে, বৈঠক বাতিল হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই কার্যত শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল।  

রবিবার দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ বৈঠকে বসবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু, শনিবারও দিনভর বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে চলে দু-দেশের চাপানউতোর। সীমান্তের এপারে-ওপারে সাংবাদিক বৈঠকে চলল ব্যাপক গোলাগুলি।  

পাকিস্তানের দাবি  ছিল, NSA বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চায় তারা। ভারতের সাফ কথা, সন্ত্রাস ছাড়া অন্য বিষয়ে আলোচনা নয়।
হুরিয়ত নেতাদের কাশ্মীরের প্রতিনিধি স্বীকৃতি দিয়ে NSA বৈঠকের সময় তাদের সঙ্গে আলোচনা চায় ইসলামাবাদ। দিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সিমলা চুক্তি মেনে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষকে মেনে নেওয়া হবে না।  

শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ইসলামাবাদে সাংবাদিক বৈঠক করেন সরতাজ আজিজ। বিকেল চারটে নাগাদ দিল্লিতে তার উত্তর দেন
সুষমা স্বরাজ।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগেই দু-দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। পরিস্থিতি যখন এতটাই তিক্ত তখন আলোচনায় কী লাভ হবে?
ওয়াঘার দুপারেই যখন এই প্রশ্ন উঠছে, তখনই পাকিস্তানকে চরম সময়সীমা দেন দিলেন সুষমা স্বরাজ।

সারাদিনের এই নাটকীয় পরিস্থিতির জন্য সরকারের হোমওয়ার্কের অভাবকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস।

কূটনৈতিক মহলের মতে পাক সেনা, আইএসআই আলোচনা চাইছে না বলেই নওয়াজ শরিফ কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে পালাবার পথ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। উধমপুর, গুরুদাসপুরে জঙ্গি হামলা, নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনার লাগাতার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের পর আলোচনার টেবিলে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে দিল্লির ওপরও চাপ রয়েছে। জটিল এই পরিস্থিতিতে কথাবার্তার রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে দুরাশাই রয়ে গেল শান্তির আশা।

.