থমথমে কাশ্মীর, গৃহবন্দি করে রাখার পর গ্রেফতার ওমর আবদুল্লা-মেহবুবা মুফতি
ওমর ও মেহবুবা ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন কাশ্মীর পিপিলস কন্ফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন ও ইমরান আনসারি
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছর আগের বন্ধুত্ব এখন অতীত। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তত্পর হয়ে উঠল রাজ্য প্রশাসন। গ্রেফতার করা হল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, মেহবুবাকে রাখা হয়েছে শ্রীনগরের বাইরে একটি গেস্ট হাউসে। ওমর ও মেহবুবা ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন কাশ্মীর পিপিলস কন্ফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন ও ইমরান আনসারি।
আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’, মেনে নেবে না কাশ্মীরের মানুষ : পাকিস্তান
রাজ্যের বেশিরভাগ নেতাই গৃহবন্দি। তাই ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে তাদের কোনও মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সোমবার ভোর থেকেই উপত্যকায় মোবাইল, ইন্টারনেট, কেবল টিভির সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। ফলে রাজ্য ভাগ, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের খবর গোটা দেশ জেনে গেলেও কাশ্মীরের মানুষের জেনেছেন অনেক পরে।
সোমবার রাজ্যসভা ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণার পর মেহবুবা টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের যেসব মানুষ এতদিন দেশের সংবিধান, সংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের ওপরে ভরসা করেছিলেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা হল। রাজ্যের যে অধিকার কেড়ে নেওয়া হল তা কাশ্মীর সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে।’
শুক্রবার থেকেই অজানা আতঙ্কে ভুগতে থাকে কাশ্মীর। জঙ্গি হামলার আশঙ্কার ফিরে আসতে বলা হয় অমরনাথ যাত্রীদের। রাজ্য ছাড়তে বলা হয় পর্যটকদের। রাজ্য পাঠানো হয় ২৫০০০ আধাসেনা। রবিবার রাতেই গৃহবন্দি করা হয় মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, সাজ্জাদ লোন, সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি সহ একাধিক নেতাকে। এরপরই সোমবার রাজ্যভাগ ও ৩৭০ ধারা বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা বাতিলের আগে ও পরে, জেনে নিন এই তথ্যগুলো
গতবছর জুন মাসে রাজ্যের বিজেপি-পিডিপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয় বিজেপি। গত মাসে রাজ্যে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন মেহবুবা মুফতি। তাঁর উদ্যোগেই রবিবার রাতে বৈঠক হয় ফারুক আবদুল্লার বাড়িতে।