দিল্লি বিস্ফোরণের পিছনে হিজবুল, সন্দেহ এনআইএ-র
দিল্লি হাইকোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডের পিছনে ছিল হিজবুল মুজাহিদিন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করেছে এনআইএ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ধৃত ওয়াসিম আক্রমকে জেরা করে এনআইএ জানতে পেরেছে, বিস্ফোরণের আগে জুনমাসে দিল্লিতে তিনবার রেইকি করা হয়েছিল।
দিল্লি হাইকোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডের পিছনে ছিল হিজবুল মুজাহিদিন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করেছে এনআইএ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ধৃত ওয়াসিম আক্রমকে জেরা করে এনআইএ জানতে পেরেছে, বিস্ফোরণের আগে জুনমাসে দিল্লিতে তিনবার রেইকি করা হয়েছিল। দিল্লির একাধিক জনবহুল এলাকায় করা হয়েছিল রেইকি। এখানেই শেষ না। জেরায় জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনা করা হয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। হিজবুল নেতা সালাউদ্দিনের নেতৃত্বেই করা হয়েছিল পরিকল্পনা। নাশকতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিনটি দলকে। আপাতত, ওয়াসিমকে জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছে এনআইএ। ওয়াসিমের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হলেও তার ল্যাপটপটি এখনও গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি। সাতই সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের সামনে বিস্ফোরণে পনেরোজনের মৃত্যু হয়। এরপরই ঘটনার দায়স্বীকার করে জম্মুর কিশটোয়ার থেকে একটি ই-মেল পাঠানো হয়। সেই ই-মেলের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, বিস্ফোরণের পিছনে থাকতে পারে হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য জুনেইদ আক্রমও। জুনেইদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতেও ওয়াসিমকে লাগাতার জেরা করছে এনআইএ।