১৩ বছরে দোষ প্রমাণ, জামিন মাত্র ৩ ঘণ্টায়, আপাত স্বস্তি সলমনের
দোষী প্রমাণিত হতে লাগল ১৩ বছর! আর সলমন খান জমিন পেলেন মাত্র ৩ ঘণ্টায়। দাবাং চালে বদলে দিলেন সব হিসেব নিকেশ। এরপর খোলা থাকছে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই শেষ পর্যন্ত কবে নিষ্পত্তি হবে এই মামলার? না কি সলমন বলেই মাফ হবে সব খুন।
ওয়েব ডেস্ক: দোষী প্রমাণিত হতে লাগল ১৩ বছর! আর সলমন খান জমিন পেলেন মাত্র ৩ ঘণ্টায়। দাবাং চালে বদলে দিলেন সব হিসেব নিকেশ। এরপর খোলা থাকছে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই শেষ পর্যন্ত কবে নিষ্পত্তি হবে এই মামলার? না কি সলমন বলেই মাফ হবে সব খুন।
১৩ বছর আগের হিট-অ্যান্ড রান মামলা। মূল অভিযুক্ত আর কেউ নন স্বয়ং সলমন খান। গত ১৩ বছরে বার বার মোড় বদল হয়েছে এই মামলার।
২০০৭-এ মৃত্যু হয় অভিযোগকারী রবীন্দ্র পাটিলের। গত বছর জুলাইতে বান্দ্রা থানা থেকে গায়েব হয়ে যায় ৬৩ জন সাক্ষীর বয়ানের ফাইল। পরে সে ফাইল মিললেও বাকি ছিল আরও চমকের।
চলতি বছর মার্চে ১৩ বছর বাদে আচমকাই খান পরিবারের এক ড্রাইভার আদালতে গিয়ে দাবি করেছিলেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনিই। অভিযুক্ত সলমন খান। সেকারণেই বোধ হয় সাধারণ গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলা গড়িয়েছে ১৩ বছর। বুধবার নিম্ন আদালতে শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হল মামলার। দোষী সাব্যস্ত হন বলিউডের সুপাপ স্টার। দায়রা আদালতের এই রায়ের পর অনেকেই ভেবে ছিলেন, ইনসাফ এল। ফের প্রমাণ হল ভারতে আইন সকলের জন্য সমান।
তবে,এ সিনেমার গল্পে বাকি ছিল আরও টুইস্ট। মাত্র ৩ ঘণ্টায় মুম্বই হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে গেলেন সলমান। বুধবার হাইকোর্টে সলমনের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হরিশ সালভের মতো নামজাদা আইনজীবী। মুহূর্তে স্বস্তি পেয়েছেন সলমন। এখন বাকি রয়েছে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন সব পেরিয়ে কবে ইনসাফ পাবেন গাড়িতে চাপা পড়া নাসিরুল্লাহ মেহেবুব সারিফের পরিবার?