Madhya Pradesh Medical College: তক্তায় মায়ের মরদেহ বেঁধে দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দিতে হল হতভাগ্য ছেলেকে...
ছেলে ১০০ টাকা খরচ করে একটি তক্তা কিনতে পেরেছিলেন। সেই তক্তায় মায়ের দেহ বেঁধে নিয়ে ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দেন। নিজের গ্রামের পথে। মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় গুদারু গ্রামের ঘটনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতোই ঘটনা। বিশ্বায়িত ভারতের, উন্নয়নশীল ভারতের উল্টোদিকে এ-ও এক ভারত। অবিশ্বাস্য ভারত। যে-দেশে এখনও ছেলেকে একাই বহন করতে হয় মায়ের মরদেহ। দেহ কাঠে বেঁধে, মরদেহ-সমতে সেই কাঠ বাইকের পিছনে বেঁধে তাঁকে অশ্রুসজল চোখে বেদনার্ত মন নিয়ে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ-- ৮০ কিলোমিটার! নিজের গ্রামে। অথচ, জেলা হাসপাতাল দেহ বহনের গাড়ি দিতে অস্বীকার করে মাতৃহারা পুত্রকে। আর হতভাগ্য পুত্রের তো বেসরকারি গাড়ি ভাড়া করে মায়ের দেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার মতোই টাকাই নেই হাতে! অতএব, এই অমানবিকতার সঙ্গে লড়াই করে এই অমানুষিক এক কর্মে নামতে হয় ছেলেকে!
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার শাহদল মেডিকেল কলেজে। শুধু যে মায়ের মরদেহ বহনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি উক্ত মেডিকেল কলেজটি, তা নয়, ছেলের অভিযোগ, তাঁর মায়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও গাফিলতি করেছে তারা। গাড়ি না পেয়ে ছেলে ১০০ টাকা খরচ করে কোনও রকমে একটি কাঠের তক্তা কিনতে পেরেছিলেন। সেই তক্তায় মায়ের দেহ বেঁধে নিয়ে নিজের গ্রামের পথে ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় গুদারু গ্রামের মানুষ তিনি।
জৈমন্ত্রী যাদব নামের ওই মহিলা বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে তাঁকে মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু রাতেই মারা যান তিনি। রোগীর ছেলে সুন্দর যাদব তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য নার্সদের অবহেলা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন। স্থানীয় মানুষজন তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন, বড় হাসপাতালে তাঁদের মতো গরিব মানুষ কোনও পরিষেবা পান না!
আরও পড়ুন: Indian Air Force Sarang: আকাশে উদ্ধত 'ময়ূর-বাহিনী', দেখে তাজ্জব গোটা দুনিয়া...
আরও পড়ুন: Rajasthan Killing: ভয়ংকর! বাড়ির পুজোয় তাণ্ডব, তরোয়াল চালিয়ে শিশুর মাথা কেটে ফেলল উন্মত্ত কিশোরী