শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি
শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা চেয়ে আদালতে গিয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান
নিজস্ব প্রতিবেদন: মথুরার জেলা দেওয়ানি আদালতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি জমি বিতর্ক মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে আজ। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা চেয়ে আদালতে গিয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান।
তাদের আবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, হিন্দু দেবোত্তর সম্পত্তি চিরকালই দেবোত্তর হিসেবে থেকে যায়। যদি আক্রমণকারীদের হাত থেকে ওই সম্পত্তি উদ্ধার করা যায়, তবে তা নতুন করে তৈরিও করা যায়। বিচারক ছায়া শর্মা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংক্রান্ত মামলার আবেদন শুনতে রাজি হয়েছেন।
মথুরার কাটরা কেশবদেব মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি নিয়েই মূল বিতর্কটি। আবেদনকারীদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈনের অভিযোগ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ওই মন্দির চত্বরেই ১৬৭০ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে একটি মসজিদ তৈরি হয়েছিল। মন্দির চত্বরের জমি থেকে সেই মসজিদ সরানোর আবেদনই আদালতে পেশ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে আদালতের রায়ের পরে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান ও শাহি ইদগাহ ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে জমি সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই জমিতেই মন্দির ও মসজিদের সহাবস্থান স্বীকৃতি পেয়েছিল।
মথুরার আদালতে নতুন আবেদনটি পেশ করেছেন লখনউয়ের বাসিন্দা রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী সহ মোট ছ’জন। আবেদনকারীদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা রয়েছেন। তবে তাঁদের কেউ-ই মথুরার বাসিন্দা নন।
মনে করা যাক, এই বিষয়ের সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত এক বাঙালি ইতিহাসবিদের কথাও। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ নির্মাণ সংক্রান্ত পার্সি ভাষায় দেওয়া ঔরঙ্গজেবের একটি আদেশের ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন যদুনাথ সরকার। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমির অধিকার চেয়ে মামলায় ওই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন আবেদনকারীরা।
আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডে হস্তক্ষেপ মোদীর, বিচারের আশ্বাস দিয়ে সিট গঠন যোগী সরকারের