মলেস্টারদের পিটিয়ে সাহসীকতার পুরস্কার পেতে চলেছে হরিয়াণার দুই বোন

হরিয়াণার দুই সাহসী বোনকে প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্বর্ধনা দিতে চলেছে সে রাজ্যের সরকার। চলন্ত বাসে তিন মলেস্টারকে খালি হাতে শায়েস্তা করেছিল এই দুই বোন। রোহটাকের চলন্ত বাসে তিন যুবক লাগাতার এই দুই বোনের শ্লীলতাহানিত চেষ্টা করে। ভয়ে না পেয়ে রুখে দাঁড়ায় তিনবোন। উলটে তিন মলেস্টারকে পেটাতে শুরু করে। হরিয়াণার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার জানিয়েছেন মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আরও কড়া ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার।

Updated By: Dec 1, 2014, 04:07 PM IST
 মলেস্টারদের পিটিয়ে সাহসীকতার পুরস্কার পেতে চলেছে হরিয়াণার দুই বোন

নয়া দিল্লি: হরিয়াণার দুই সাহসী বোনকে প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্বর্ধনা দিতে চলেছে সে রাজ্যের সরকার। চলন্ত বাসে তিন মলেস্টারকে খালি হাতে শায়েস্তা করেছিল এই দুই বোন। রোহটাকের চলন্ত বাসে তিন যুবক লাগাতার এই দুই বোনের শ্লীলতাহানিত চেষ্টা করে। ভয়ে না পেয়ে রুখে দাঁড়ায় তিনবোন। উলটে তিন মলেস্টারকে পেটাতে শুরু করে। হরিয়াণার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার জানিয়েছেন মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আরও কড়া ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার।

প্রজাতন্ত্র দিবসে দুই বোনকে অর্থদিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।

এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে হরিয়াণা সরকার। রাজ্যসরকার ডিজিপি ও ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছে বাসে যাতায়াত কারী মহিলাদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে।

অভিযুক্ত তিনজন, কুলদীপ, মোহিত ও দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। দুজন মলেস্টার আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তৃতীয়জন কলেজ ছাত্র।

অভিযুক্ত সেনাকর্মীদের সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

বাসটির ড্রাইভার ও কনডাক্টারকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

দুইবোন যখন এই তিন মলেস্টারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় আশ্চর্যজনকভাবে একজন সহযাত্রীও তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।

একবোন বাধ্যহয়ে তার বেল্ট দিয়ে এক মলেস্টারকে মারতে শুরু করে।

পুরো ঘটনাই এক সহযাত্রী মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ইউ টিউবে প্রকাশ করার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

''প্রত্যেকটি মেয়ের উচিৎ এইভাবেই রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু দুঃখের বিষয় একজন সহযাত্রীও তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী এখুনি বদলানো দরকার। চোখের সামনে এই ধরণের ঘটনা দেখেও চুপ করে থাকাটা অপরাধ।'' মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী উমা ভারতী।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন মেয়েদুটির বাবা। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

 

 

.