Jalebi Baba: এক জীবনে লালসার শিকার ১২০ কিশোরী-তরণী-যুবতী! জেলেই শেষ ভণ্ড সাধু 'জলেবি বাবা'

Jalebi Baba Dies In Hisar Jail: খেলা শেষ ভণ্ড সাধুর! আর কোনও মেয়ের হবে না জীবন নষ্ট।  

Updated By: May 9, 2024, 07:59 PM IST
Jalebi Baba: এক জীবনে লালসার শিকার ১২০ কিশোরী-তরণী-যুবতী! জেলেই শেষ ভণ্ড সাধু 'জলেবি বাবা'

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত 'জলেবি বাবা'! ওরফে কুখ্য়াত বাবা বিল্লু রাম (Baba Billu Ram), কারোর কাছে তিনি পরিচিত অমরপুরী (Amarpuri) নামেও। নিজেকে 'গডম্য়ান' বলে দাবি করা বিল্লু রাম ১২০-র উপর মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন। এরপর তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করে অশ্লীল ভিডিয়ো বানিয়েছেন। এই অপরাধেই ১৪ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছিলেন হরিয়ানার হিসার জেলে। সেন্ট্রাল জেল-টু'তে ছিলেন বিল্লু রাম। গত বুধবার রাতে আচমকাই বুকে ব্য়থা অনুভব করেন। এরপর জেইল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হরিয়ানার মহারাজা আগরসেন মেডিক্য়াল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বিল্লু রাম।

আরও পড়ুন: Viral Marksheet: গুজরাতে প্রাইমারি কেলেঙ্কারি! ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২১২, ভাইরাল মার্কশিট...

কে এই জলেবি বাবা? বিল্লু রাম পঞ্জাবের মনসার বাসিন্দা। তোহানায় থাকতেন। তোহানায় একটি ছোট ঠেলায় জিলিপি বিক্রি করতেন বলেই, তিনি 'জলেবি বাবা' নামে পরিচিত হয়েছিলেন। কারণ জিলিপি বিক্রি ছেড়ে বাবা হয়ে তোহানায় একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তোহানার বাবা বালক নাথ মন্দিরের মহন্ত ছিলেন। ১২০-র উপর মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগেই তিনি এসেছিলেন শিরোনামে। জানা যায় মহিলাদের চায়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে কুকর্ম করতেন। তন্ত্র ও মন্ত্রের নামে নারীদের নেশা করিয়ে তাঁদের সঙ্গে জঘন্য কাজ করতে কখনও পিছপা হননি। এমনকী ধর্ষিতাদের ভিডিয়ো শ্যুট করতেন। সেগুলি পরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। পুলিশ জালেবি বাবার আশ্রমে প্রচুর সেক্স সিডিও পেয়েছে। 
 
২০১৮ সালে তোহানার ফতেহাবাদ জেলায় শ্যুট করা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন জ্বেলে দিয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যে, এই ভণ্ড বাবা এক মহিলার সঙ্গে লজ্জাজনক কাজে লিপ্ত। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই বাবার বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ দেখায় মানুষ। পুলিশ বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও পুলিশ অফিসারসহ প্রায় ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ফতেহাবাদ আদালতে বাবার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর আদালত নির্দেশ দেয় ১৪ বছর কারাবাস ও ৩৫ হাজার টাকার জরিমানার। এই আশ্রমে আফিমও পাওয়া যায়। বাবার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন: Mumbai Chicken Shawarma Death: স্লো পয়জনিং? চিকেন শাওয়ারমা খেয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল কিশোর!

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

  

.