জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের চার বছর অতিক্রম করে আজও নাশকতার আতঙ্ক বহন করছেন এলাকাবাসী

জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ড। ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি আজও আতঙ্কে ভরিয়ে দেয় মন। মাওবাদী নাশকতায় মৃত্যু হয়েছিল একশো চল্লিশ জন ট্রেন যাত্রীর। গতকাল ছিল জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের চার বছর পূর্তি। এত বছর পরেও দুর্ঘটনার স্মৃতি-ভার বয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিশপ্ত কামরাগুলি আজও একইভাবে পড়ে রয়েছে তাঁদের চোখের সামনে।

Updated By: May 29, 2014, 10:06 AM IST

জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ড। ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি আজও আতঙ্কে ভরিয়ে দেয় মন। মাওবাদী নাশকতায় মৃত্যু হয়েছিল একশো চল্লিশ জন ট্রেন যাত্রীর। গতকাল ছিল জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের চার বছর পূর্তি। এত বছর পরেও দুর্ঘটনার স্মৃতি-ভার বয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিশপ্ত কামরাগুলি আজও একইভাবে পড়ে রয়েছে তাঁদের চোখের সামনে।

বছরের পর বছর রোদ-জলের ধাক্কা সামলে পড়ে থাকা কামরাগুলিতে কোথাও মরচে ধরেছে। আবার কোথাও রেল কামরার মধ্যেই গজিয়ে উঠেছে গাছপালা। তবু এই ধ্বংসপুরীর দিকে তাকালে আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের স্মৃতি।

মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে চার-চারটি বছর। কিন্তু এখনও রেললাইনের ধারে একইভাবে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরাগুলি।
রেলের বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে সরানো যাচ্ছে না বগিগুলি।

যদিও এলাকার মানুষ বলছেন, বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকায় বেশিরভাগ বগিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কামরার ভিতর থেকে আলো-পাখা সবই প্রায় চুরি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তাহলে তথ্যপ্রমাণ হিসেবে বগিগুলি ফেলে রেখে দেওয়ার পিছনে যুক্তি কী?

চার বছরের পুরনো দুর্ঘটনার স্মৃতিকে আজও চোখের সামনে টাটকা করে রেখেছে পড়ে থাকা বগিগুলি। ভোলা যাচ্ছে না সেই মৃত্যুমিছিল-কান্নার রোল--স্বজন হারাদের হাহাকার। জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের চার বছর পূর্তিতে এলাকাবাসীদের তাই দাবি একটাই, অভিশপ্ত কামরাগুলি সরিয়ে এবার অন্তত তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক সুস্থ পরিবেশ।

.