একমাসে লাফিয়ে বাড়ল খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি; নাভিশ্বাস আম জনতার, বাজেটের আগে দুশ্চিন্তায় সরকার
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দেশে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটি বড় কারণ তেলের দাম বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেঁয়াজের দাম নিয়েই আজকাল বাজার গরম করছেন মধ্যবিত্ত। কিন্তু তার পরেও অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে লাফিয়ে। স্বীকার করে নিল খোদ সরকারও।
আরও পড়ুন-টিকটকের ফাঁদ, র্যাম্প শো করতে গিয়ে নিখোঁজ 'টিকটকার' গৃহবধূ
সোমবার সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত নভেম্বর মাসে দেশে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫৪ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে সেই হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৫ শতাংশ। অর্থাত্ এক মাসে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১.৮১ শতাংশ।
বিরোধীরা এনআরসি-সিএএ, ছাত্রদের ওপরে হামলা নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা উঠলেও সেই ইস্যু দানা বাঁধছে না। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুটিকে পাত্তাই দিতে রাজি নয় সরকার। মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে গত ডিসেম্বর মাসে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বাজের পেশ করার পর ফের সুদের হার ঘোষণা করতে পারে আরবিআই।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দেশে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটি বড় কারণ তেলের দাম বৃদ্ধি। গত সপ্তাহেই তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলপিছু ৭০ ডলার। পরিস্থিতি আরও ঘেরাল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সংঘাত। উল্লেখ্য, ভারত হল দুনিয়ায় তৃতীয় বৃহত্তম তেলে আমদানিকারক দেশ। ইরানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনে ভারত।
আরও পড়ুন-এপ্রিলেই ভোট কলকাতা পুরসভার, সংরক্ষণের আওতায় অর্ধেক আসন!
সরকার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বর মাসে খাদ্যদ্রব্যে মূলবৃদ্ধির হার ছিল ১৪.১২ শতাংশ। অন্যদিকে সবজিতে এই বৃদ্ধির হার ৬০.৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস দাস বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান কাজ এখন হল জিনিসপত্রের দাম স্থির করা। তা না হলে গরিব মানুষ বাঁচবে না।