সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনাকে অস্ত্র কেনার বিশেষ অধিকার দিল কেন্দ্র

প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে সেনাকে। তাই আর কী কী থাকলে তাদের সুবিধা হবে, তা সেনা আধিকারিকরাই সবচেয়ে ভালো উপলব্ধি করতে পারবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক অন্তত এমনটাই মনে করছে। সেই কারণে সেনাকে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হল।

Updated By: Apr 16, 2019, 10:07 PM IST
সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনাকে অস্ত্র কেনার বিশেষ অধিকার দিল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামার জঙ্গিহানা থেকে শিক্ষা নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনার তিন বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে অস্ত্র-সহ দরকারি সামগ্রী কিনতে পারবে সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনা।

সরকারি একটি সূত্র সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে তিন মাসের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা অস্ত্র-সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার কাজ করতে পারবে। সরকারি তরফে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজনাথের বিরুদ্ধে লড়তে সমাজবাদী পার্টিতে শত্রুঘ্ন-পত্নী পুনম

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। জাতীয় সড়কে সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা করে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ওই হামলায় প্রায় ৪০ জন আধাসেনা জওয়ান শহিদ হন।

১২ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই জঙ্গিঘাঁটি।

আরও পড়ুন: সব মোদীই চোর! রাহুলের মন্তব্যে মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি বিজেপির

এর পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ফলে সীমান্তে এবং জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনাকে বাড়তি নজরদারি চালাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদ দমনে বেশ কিছু প্রস্তাব সরকারকে দেওয়া হয়েছিল সেনার তরফে।

তার মধ্যে ছিল আড়াইশো স্পাইক মিসাইল কেনার প্রস্তাব। ইজরায়েল থেকে ওই মিসাইল কেনার প্রস্তাব সরকারের কাছে সেনার তরফে দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ ক্ষমতা পাবার পর ওই মিসাইল সেনা কিনে নিতে পারবে। এর জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে না তাদের।

আরও পড়ুন: মসজিদে মহিলাদের প্রবেশাধিকার মামলায় কেন্দ্র, মহিলা কমিশন, ওয়াকফ বোর্ডকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে সেনাকে। তাই আর কী কী থাকলে তাদের সুবিধা হবে, তা সেনা আধিকারিকরাই সবচেয়ে ভালো উপলব্ধি করতে পারবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক অন্তত এমনটাই মনে করছে। সেই কারণে সেনাকে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হল।

.