এবার সরকারি চাকরিতেও ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা! কেন্দ্রের ভয় ধরানো আইন আসছে
জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে একাধিক সরকারি দফতর বেশ কিছু কর্মীর তালিকা তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কেন্দ্রের নতুন আইন। আর সেই আইন এবার ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের (Government employees)। এই আইন (Act) অনুযায়ী, চাকরির মেয়াদ ৩০ বছর হলেই যে কোনও দফতরের কর্মীকে বসিয়ে দিতে পারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি মন্ত্রক ও বিভাগকে এই আইন বলবত্ করার ছাড় দিয়ে রেখেছে। অর্থাত্, এবার থেকে কোনও সরকারি দফতর যদি মনে করে, নির্দিষ্ট কর্মীর কাজ আশানুরূপ নয়, তা হলে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদালতে মামলাও করতে পারবেন না। কারণ, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারের এই আইনে সিলমোহর দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে একাধিক সরকারি দফতর বেশ কিছু কর্মীর তালিকা তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে। সেই সব কর্মীদের কাজে তাদের বিভাগীয় প্রধান খুশি নন। পরবর্তী অর্থবর্ষের আগে সারা দেশে বহু সরকারি কর্মী ও আধিকারিক এই আইনের জাঁতাকলে পড়ে চাকরি হারাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত চলা আইন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারির বয়স অন্তত ৫৫ হলে তবেই তাঁকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া যেত। তবে FR 56- এর নিয়মানুযায়ী, বেশ কিছু সরকারী কর্মী, যাঁরা পেনশন নিয়মের মধ্যে পড়েন না, তাঁদের তিন মাসের মাইনে হাতে দিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর বসিয়ে দিতে পারবে।
আরও পড়ুন- বিরোধীরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে; ক্ষমতায় থাকার সময় এরাই এই কৃষি আইনের পক্ষে ছিল: Modi
এমন সরকারী কর্মী যাঁরা ৫০-৫৫ বছর বয়সী এবং ৩০ বছরের চাকরি জীবন পূর্ণ করেছেন, তাঁদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার তৈরি করছে বিভিন্ন বিভাগ। প্রতি তিন মাসে তাঁদের কাজের ধরণ, হিসাব সেখানে তোলা হবে। সেই হিসাবের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মীর ভবিষ্যত্ নির্ধারণ হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনও কর্মী যদি মনে করেন যে তাঁর কাজের যাচাই বিভাগীয় প্রধান সঠিকভাবে করেননি, সেক্ষেত্র তিনি নির্ধারিত কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন। অগাস্ট মাস থেকেই এই আইন প্রণয়নের সবুজ সঙ্কেত বিভাগগুলিকে দিয়েছে কেন্দ্র।