রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরাতে সাংসদ পদও ছাড়তে চলেছেন মহাগুরু
রাজনীতি ছাড়ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আগেই জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন না। এবার ছাড়ছেন সাংসদ পদও। তৃণমূল সূত্রে খবর, মিঠুনের জায়গায় রাজ্যসভায় কাকে পাঠানো হবে তা নিয়েও দলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: রাজনীতি ছাড়ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আগেই জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন না। এবার ছাড়ছেন সাংসদ পদও। তৃণমূল সূত্রে খবর, মিঠুনের জায়গায় রাজ্যসভায় কাকে পাঠানো হবে তা নিয়েও দলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সিনে পর্দায় তিনি দুষ্টের যম। যেখানে অন্যায় , দুর্নীতি-- সেখানেই প্রতিবাদে সবর হয়েছেন। রিয়েল লাইফেও একই রকম স্বচ্ছ ইমেজ ধরে রাখতে চান মিঠুন চক্রবর্তী। একাধিক বার সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সামনে এসেছে তাঁর নাম। এই স্বচ্ছ ইমেজেই জোর ধাক্কা। সারদায় নাম জড়ায় মিঠুন চক্রবর্তীর। ইডি তাঁকে তলব করে। সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে দেশ তাঁকে চেনে। সেই মিঠুন সারদার মতো আর্থিক দুর্নীতিতে নিজের নাম জড়ানো মেনে নিতে পারেননি। এবছর জুনে সারদা থেকে পাওয়া টাকাও ফিরিয়ে দেন ইডিকে।
মিঠুনের অভিমান, এই দীর্ঘ সারদা টানাপোড়েনের সময় একটি বারের জন্যও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি তৃণমূল। এর পরেই তৃণমূলের থেকে নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়েছেন মহাগুরু। গত ৩ টি অধিবেশেনে সংসদে গরহাজির ছিলেন। প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে কিছু না বললেনও, একটু একটু করে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। ফোনেও যোগাযোগ নেই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। এমনকি কলকাতায় এলেও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি তাঁর। জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভায় দলের হয়ে প্রচারেও থাকবেন না। নেত্রীর অবশ্য যুক্তি, সিবিআইয়ের ভয়েই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না মিঠুন।
এবার সম্ভবত আরও বড় বিচ্ছেদের পথে যাচ্ছেন মিঠুন। সূত্রের খবর রাজ্যসভার সাংসদ পদেও ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর মিঠুনের জায়গায় রাজ্যসভায় কাকে পাঠানো যায় তানিয়েও আলোচনা চলছে দলে। মিঠুন অবশ্য এসব নিয়ে একে বারেই চুপ।